×

মেলা

মিঠুনের অনুপ্রেরণা ‘এলভিস প্রেসলি’

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মিঠুনের অনুপ্রেরণা ‘এলভিস প্রেসলি’

মিঠুন চক্রবর্তী

   

মাত্র কয়েক দিন আগেই এক চলচ্চিত্র সমালোচক বলছিলেন, মিঠুন চক্রবর্তী তো শুধু অভিনেতা নন, একটা যুগ, অধ্যায়! প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে মৃণাল সেনের পরিচালনায় ‘মৃগয়া’ দিয়ে যার পথচলা শুরু, সেই ছেলেটিই কিনা অচিরে বলিউডে ‘ডান্স আইকন’ হয়ে উঠলেন। মৃগয়া আর ডিস্কো ডান্সারের মিঠুনকে পাশাপাশি রাখলে বোঝা যায়, তার প্রতিভার ব্যাপ্তি কতটা! মিঠুনকে ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে সরকার। তারপর থেকেই তাকে নিয়ে পুরনো কত কথা উঠে আসতে শুরু করেছে। তার নাচ, তার প্রেম, তার জীবনদর্শন। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভেসে উঠেছে ১৯৮৭ সালে দেয়া তার এক ভিডিও সাক্ষাৎকার।

সেই সাক্ষাৎকারের পাঁচ বছর আগেই মুক্তি পেয়েছিল ‘ডিস্কো ডান্সার’। সে ছবিকে তখন শুধু হিট বললে ভুল হবে, সুপার ডুপার হিট। ‘আই অ্যাম এ ডিস্কো ডান্সার’ গানের জন্য বিজয় বেনেডিক্টকে ততদিনে আবিষ্কার করে ফেলেছেন সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী। মিঠুনের নাচ ও অভিনয়ে বক্স অফিস প্রায় চুরমার করে দেয়া সাফল্য পায় ডিস্কো ডান্সার।

পাঁচ বছর পর কানাডার ভ্যানকুভের শহরে বসে মিঠুন যখন এই সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন, সে বছরই মুক্তি পেয়েছিল ‘ডান্স ডান্স’ ও ‘পরিবার’। দুটোই হিট। মিঠুনকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনি এত ভালো নাচেন। আপনার নাচের অনুপ্রেরণা কে? জন ট্রাভোল্টা?

ট্রাভোল্টা হলেন মার্কিন অভিনেতা। ১৯৭৭ সালে মুক্তি পেয়েছিল তার অভিনীত ছবি ‘স্যাটারডে নাইট ফিভার’। সেই ছবিতে ট্রাভোল্টার ডিস্কো নাচ সাড়া ফেলে দিয়েছিল গোটা দুনিয়ায়। মিঠুন ট্রাভোল্টার তুলনায় বয়সে বড়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিঠুন বলেছিলেন, ট্রাভোল্টা নন, আমার অনুপ্রেরণা হলেন এলভিস প্রেসলি।

এলভিসকে বলা হতো, ‘কিং অব রক অ্যান্ড রোল’। সাক্ষাৎকারে মিঠুন বলেন, ‘কলকাতায় থেকেই আমি এলভিস প্রেসলির সব ছবি দেখেছি। ছোটবেলা থেকে দেখেছি আর অনুপ্রাণিত হয়েছি। তবে নাচের স্টাইলটা আমার নিজস্ব।’ মিঠুনের লম্বা পায়ে শরীর বেঁকিয়ে সেই নাচ তারই নিজস্ব। সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, কলকাতায় থেকে এলভিসের ছবি দেখার গান শোনার সুযোগ ছিল? মিঠুন বলেন, হ্যাঁ ছিল। এলভিসই আমাকে অনুপ্রাণিত করেন।

তাকে দাদা সাহেব ফালকে পুরস্কার দেয়া হবে শুনে মিঠুন বলেন, ‘হাসব না কাঁদব জানি না, আমি কলকাতার অন্ধ গলি থেকে উঠে আসা একটা ছেলে। সবই কপাল!’

অবাক করা বিষয় হলো, প্রায় ৪০ বছর আগে দেয়া সাক্ষাৎকারের সঙ্গে মিঠুনের আজকের কথার কোনো ফারাক নেই। তার যে কস্মিনকালে কোনো ভড়ং ছিল না, সবটাই সোজাসাপ্টা তা যেন জলের মতোই স্বচ্ছ।

১৯৮৭ সালের ওই সাক্ষাৎকারে মিঠুনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, অনেকে বলে আপনি অমিতাভ বচ্চনের তুলনায় অনেক বড় শিল্পী, অনেক জনপ্রিয়, এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? উত্তরে মিঠুন বলেছিলেন, ‘এ নিয়ে আমি কী বলব, মানুষই বলবে।’ তা শুনে সাংবাদিক বলেছিলেন, আপনি খুবই বিনয়ী। মিঠুনের জবাব ছিল, ‘আমি বড় বড় কথা বলি না।’

সাক্ষাৎকারের পরের অংশ শোনার মতো। সাংবাদিক প্রশ্ন করেছিলেন, আপনার এখনকার সব ছবি যে এত হিট হচ্ছে, এর পেছনে কারণ কী? মিঠুন বলেছিলেন, ‘নসিব’, মানে ভাগ্য।

তাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, ছবির কাহিনি, অভিনয়- এগুলো হিট হওয়ার জন্য কোনো কারণ নয়? মিঠুন ততধিক নির্লিপ্তভাবে বলেছিলেন, ‘নসিব চলতা হ্যায়। কপাল জোরেই কাহিনি ভালো নয়, অভিনয়ের দক্ষতাও ভাগ্যগুণে!’

মিঠুনকে জিজ্ঞেস করা হয়, কতদিন এভাবে ভাগ্যের ভরসায় চলবেন? উত্তরে সেই সময়কার মেগাস্টার বলেন, ‘যতদিন ভাগ্য সঙ্গ দেবে।’

আর কতদিন ভাগ্য সঙ্গে থাকবে? মিঠুন হেসে বলেছিলেন, ‘সে তো উপরওয়ালাই জানেন।’

আটের দশকের মাঝামাঝি সময় থেকেই বলিউডে মিঠুন-শ্রীদেবীর প্রেম নিয়ে গসিপ ছিল। সাক্ষাৎকারে সে প্রশ্নও করা হয়। মিঠুন তার জবাব এড়িয়ে যান। তবে তার যে অনেক বান্ধবী ছিল তা অস্বীকার করেননি। বলেন, আমি আসলে ম্যারেড ব্যাচেলর। সবটাই সবাই সেটা জানে! এ নিয়ে আর কিছু বলব না।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App