এমভি আবদুল্লাহ দেশে আসবে সোমবার

চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ: ১২ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

এমভি আবদুল্লাহ
সোমালিয়ার জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার এক মাস পর জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ ২৩ নাবিক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমানায় পৌঁছেছে। আগামীকাল সোমবার বিকেলে জাহাজটি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ার উপকূলে নোঙর করতে পারে।
সেখানে দুদিন কিছু পণ্য খালাসের পর বাকি পণ্য খালাস করতে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজটি বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে রয়েছে জানিয়ে জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, এমভি আবদুল্লাহ ১৩ মে রাতে অথবা ১৪ মে সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পৌঁছাবে বলে আশা করছি।
সোমবার বিকালে জাহাজটি কুতুবদিয়া পৌঁছাবে। এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা জাহাজে করেই চট্টগ্রামে পৌঁছাবেন, নাকি আগেই জাহাজ থেকে নেমে চট্টগ্রাম আসবেন সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দুবাই থেকে আসার সময় জাহাজটি ৫৬ হাজার টান চুনাপাথর বহন করে। এর মধ্যে কিছু চুনাপাথর কুতুবদিয়ায় খালাসের পর বাকি চুনাপাথর চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে খালাস করতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ সোমালিয়ান জলদস্যুরা বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরে ‘এমভি আবদুল্লাহ’র নিয়ন্ত্রণ নেয় এবং এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করে। মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামিয়া বন্দরে যাওয়ার পথে জাহাজটি জলদস্যুর কবলে পড়ে।
৩৩ দিনের মাথায় মুক্তিপণ পরিশোধের পর ১৩ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা ৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ থেকে নেমে যায় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। জলদস্যুরা নেমে যাওয়ার পরই জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারামিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা দেয়।
জলদস্যুমুক্ত হওয়ার পর নিরাপদ এলাকায় না পৌঁছানো পর্যন্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে জলদস্যুদের নিয়ন্ত্রিত উপকূল থেকে সোমালিয়ার সীমানা পার করে দেয়।
এর আগে, ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরবসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল কেএসআরএম গ্রুপের এস আর শিপিং লিমিটেডের আরেকটি জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজের ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সরকারি উদ্যোগসহ নানা প্রক্রিয়ায় ২০১১ সালের ১৪ মার্চ জিম্মিদের মুক্তি মেলে।