×

প্রথম পাতা

১৯৪৯ থেকে ২০২৪

ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে গৌরবগাথা

Icon

ঝর্ণা মনি

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ইতিহাসের বাঁকে  বাঁকে গৌরবগাথা
   

রোজ গার্ডেন। নামে গার্ডেন বা বাগান হলেও এটি মূলত পুরান ঢাকার টিকাটুলির কে এম দাস লেনের একটি ঐতিহাসিক বাগানবাড়ি। ১৯৩০ সালের দিকে ঋষিকেশ দাস নামের এক ব্যবসায়ী ২২ বিঘা জমির ওপর এই দ্বিতল ভবনটি নির্মাণ করেন। ভবনের বাগানে গোলাপের প্রাচুর্য থাকায় বাড়ির নাম হয় ‘রোজ গার্ডেন’। অভিনব নির্মাণশৈলীর কারণে এটি হয়ে ওঠে ঢাকার অন্যতম মনোরম ভবন। শ্বেতপাথরে গড়া এই ভবনটি ঋষিকেশ দাস ১৯৩৬ সালের দিকে ব্যবসায়ী খান বাহাদুর কাজী আবদুর রশীদের কাছে বিক্রি করে দেন। বাড়ির নাম রাখা হয় ‘রশীদ মঞ্জিল’। কিন্তু ‘রোজ গার্ডেন’ নামটি মানুষের মুখে মুখে রয়েই যায়। ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন এই বাড়িতেই জন্ম হয় উপমহাদেশের প্রাচীন দল আওয়ামী লীগের।

তখন দলটি আওয়ামী মুসলিম লীগ নামে আত্মপ্রকাশ করে। প্রতিষ্ঠাকালীন পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সভাপতি হন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, সহসভাপতি আতাউর রহমান খান, শাখাওয়াত হোসেন ও আলী আহমদ। সাধারণ সম্পাদক হন শামসুল হক। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও এ কে রফিকুল হোসেনকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেয়া হয়। কোষাধ্যক্ষ হন ইয়ার মোহাম্মদ খান। ওই সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারে ছিলেন।

অন্যদিকে পুরো পাকিস্তানের ক্ষেত্রে সংগঠনটির নাম রাখা হয় নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ; সভাপতি হন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। প্রতিষ্ঠার দিন সভায় ছিলেন শামসুল হক, শওকত আলী, আনোয়ারা খাতুন, ফজলুল কাদের চৌধুরী, আবদুল জব্বার খদ্দর, খন্দকার মোশতাক আহমেদ, আতাউর রহমান খান, মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ, আলী আমজাদ খান, শামসুদ্দীন আহমদ (কুষ্টিয়া), ইয়ার মুহম্মদ খান, মওলানা শামসুল হক, মওলানা এয়াকুব শরীফ, আবদুর রশিদ প্রমুখ। পরদিন (২৪ জুন) বিকালে নবগঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগ মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে জনসভা করে। সভায় আনুমানিক প্রায় চার হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন।

১৯৫২ সালে শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। পরের বছর ঢাকার ‘মুকুল’ প্রেক্ষাগৃহে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের সম্মেলনে তাকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত ১৩ বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৫৫ সালে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নামে আত্মপ্রকাশ ঘটে দলটির। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বাঙালির অধিকার আদায়ের অবিসংবাদিত, অনন্য প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠে আওয়ামী লীগ।

তারই ধারাবাহিকতায় বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণের বীজমন্ত্রকে ধারণ করে এগিয়ে যায় দলটি। পাকিস্তানি সামরিক শাসন, জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে আওয়ামী লীগ। উজ্জ্বল সংগ্রামের পথ বেয়ে সেই দলই আজ ৭৫ বছরে পা দিল। টানা চতুর্থবারের মতো দেশের উন্নয়নের সংগ্রামেও নেতৃত্ব দিচ্ছে এই আওয়ামী লীগই।

ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে : আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও গৌরবের ইতিহাস। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রামের পথে মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেয়ার মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় সংগঠিত করে বাঙালির ইতিহাসে আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ- এই তিনটি নাম সমার্থক হয়ে আছে।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার আদর্শ এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক, প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা নির্মাণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করে আওয়ামী লীগ। বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার লক্ষ্যে প্রথম থেকেই অবিচল ছিলেন। তার বিশেষ কৃতিত্ব, তিনি এ দাবিতে সব শ্রেণিপেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে পেরেছিলেন এবং নিজের দলকেও এজন্য প্রস্তুত করতে থাকেন।

ভাষা আন্দোলনের বিজয়ের পটভূমিতে ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের কাছে মুসলিম লীগের শোচনীয় পরাজয় হয়। তারপরও প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হয়। নানা ঘটনা প্রবাহের মধ্য দিয়ে ১৯৫৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে প্রদেশে কোয়ালিশন মন্ত্রিসভা গঠিত হয়। পূর্ব পাকিস্তানে আওয়ামী লীগ সরকার নিশ্চিত করে এক মুক্ত গণতান্ত্রিক পরিবেশ। আওয়ামী লীগের উদ্যোগেই মাতৃভাষা হিসেবে বাংলা অন্যতম রাষ্ট্রভাষার আনুষ্ঠানিক মর্যাদা লাভ করে। একুশে ফেব্রুয়ারি ঘোষিত হয় ‘শহীদ দিবস’।

’৬২ সালের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। সে সময়ের সেøাগান ছিল ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’; ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা, তোমার আমার ঠিকানা’। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ৬ দফা দিয়েছিলেন লাহোরে। তখন তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। ’৬৬ এর ১৮, ১৯ ও ২০ মার্চ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু সভাপতি ও তাজউদ্দীন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ৬ দফা দেয়ার পর বঙ্গবন্ধু বলতেন ‘সাঁকো দিলাম, এই সাঁকো দিয়েই একদিন আমরা স্বাধীনতায় পৌঁছাব’। ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের পথ বেয়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৪ বছরের আপসহীন সংগ্রাম-লড়াই এবং ১৯৭১ সালের ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের। বিশ্বের বুকে বীরের জাতি হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

সুদীর্ঘ পথ পরিক্রমায় অনেক চড়াই-উতরাই এবং ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। কখনো নেতৃত্বের শূন্যতা, আবার কখনো ভাঙনের মুখে পড়তে হয়েছে এ দলটিকে। কিন্তু সাধারণ মানুষের বিপুল সমর্থনে মহিরুহ হয়ে ওঠা আওয়ামী লীগকে কোনো বিভেদ-ভাঙনই টলাতে পারেনি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর নেতৃত্ব শূন্যতায় পড়ে আওয়ামী লীগ। এরপর দলের মধ্যে একাধিক ভাঙনও দেখা দেয়।

১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। তার নেতৃত্বে দ্বিধা-বিভক্ত আওয়ামী লীগ আবার ঐক্যবদ্ধ হয়। তিন দশক ধরে তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পরিচালিত হচ্ছে। এই সময়ে আন্দোলন-সংগ্রামের পাশাপাশি চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছে এ দলটি। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছর এবং ১৯৯৬, ২০০৮ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনা করছে।

২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ : বর্তমানে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর নতুন দশ তলা ভবনটি আওয়ামী লীগের স্থায়ী ঠিকানা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আওয়ামী লীগের অফিস স্থানান্তরের ঘটনা ঘটেছে ৮ থেকে ৯ বার। রোজ গার্ডেনে প্রতিষ্ঠার পর পালাক্রমে কেন্দ্রীয় নেতাদের বাড়িতে বসে দল পরিচালনার নীতি-কর্মসূচি নেয়া হতো, কোনো অফিস ছিল না। ১৯৫৩ সাল থেকে ৯ কারকুন বাড়ি লেনে অস্থায়ী একটি অফিস ব্যবহার করা হতো। ১৯৫৬ সালে পুরান ঢাকার ৫৬ সিমসন রোডে দলের অফিস স্থাপন করা হয়। ১৯৬৪ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগকে পুনরুজ্জীবিত করার পর তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৯১, নবাবপুর রোডে দলের অফিস নেন।

এর কয়েকদিন পর অস্থায়ীভাবে সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলের গলিতে বসেন নেতারা। পরে পুরানা পল্টনে দুটি স্থানে দীর্ঘদিন দলের অফিস ছিল। ১৯৮১ সালের দিকে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দলের দায়িত্ব নেয়ার পর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঠিকানা হয় আওয়ামী লীগের। আর প্রতিষ্ঠার ৬৯ বছর পর নিজস্ব ভবন পায় দলটি। দৃষ্টিনন্দন ও আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর নতুন দশ তলা ভবনটি এখন স্থায়ী ঠিকানা। ৮ কাঠা জায়গার উপর ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্বমানের দলীয় কার্যালয়টি। কার্যালয়টি ওয়াইফাই জোনের আওতায়। সামনে স্টিলের বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’। পাশেই দলীয় প্রতীক নৌকা। সবার ওপরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল। রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ ও পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের ম্যুরালও।

ফিনিক্স পাখির বারবার জেগে ওঠা : সঙ্কটেই বারবার জ্বলে উঠে আওয়ামী লীগ। ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে নতুন করে গড়ে ওঠে। ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় বঙ্গবন্ধুর গ্রেপ্তারের পর আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছিল। দলীয় কার্যালয়ে তখন বাতি জ্বালানোর লোক ছিল না। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবার জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড, ৩ নভেম্বর জেলহত্যার পর অনেকেই মনে করেছিল আওয়ামী লীগ হয়তো কালের গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে এবং অস্তিত্ব থাকবে না। কয়েক ভাগে বিভক্ত দলটির নেতাকর্মীরা ছিলেন অসহায়, ভবিষ্যৎ ছিল অনিশ্চয়তায় ভরা।

১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে সভাপতি করা হয়। ওই বছর ১৭ মে সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন এবং সেখান থেকে শুরু হয় আওয়ামী লীগের পুনরুজ্জীবনের নতুন গল্প। ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে নিঃশেষিত করে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। অলৌকিকভাবে শেখ হাসিনা বেঁচে যান। ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনাও। এক এগারোর সময় মাইনাস ফর্মুলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে রাজনীতি থেকে নির্বাসনে পাঠানোর ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। ওই ষড়যন্ত্রকেও প্রতিহত করে প্রতিটি দুর্যোগে, প্রতিটি সংকটে বারবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগের অর্জন, বাংলার অর্জন : বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদান, যার ধারাবাহিকতায় স্বাধীন বাংলাদেশ- স্বাধীনতার প্রতিটি গৌরবময় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে আওয়ামী লীগ। স্বাধীন দেশকে পুনর্গঠনের জন্য রাষ্ট্রীয় কাঠামো সংবিধান তৈরি, যুদ্ধাপরাধীর বিচারে দালাল আইন, কূটনৈতিক সম্পর্ক, অর্থনৈতিক ভিত্তি তৈরি, সমুদ্র সীমা আইন, গঙ্গার পানি চুক্তি, দারিদ্র্য দূরীকরণ কর্মসূচি নেয়া- সবই করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বপ্নের সোনার বাংলার ভিত্তিপ্রস্তর করেছিলেন জাতির পিতা কিন্তু ঘাতকের নির্মম বুলেটে পুরো বাংলাদেশই উল্টোপথে যাত্রা শুরু করে। অন্ধকার যুগ পেরিয়ে ফের জাতির আলোর পথে যাত্রা শুরু হয় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূূর্ণ বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, পদ্মা সেতু, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে, মেট্টোরেল, পারমানবিক বিদ্যুৎ, বঙ্গবন্ধু টানেল, আশ্রায়ণ প্রকল্প বিশ্বের উদাহরণ। তেমনি বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করেছে আওয়ামী লীগ সরকারই।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে পঁচাত্তর বছর বয়সী আওয়ামী লীগ। লক্ষ্য- জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ ও বাঙালি জাতিকে বিশ্বের বুকে আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App