×

প্রথম পাতা

পুলিশ হত্যা, থানা পুড়ানো ও অস্ত্র লুটের পৃথক মামলা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পুলিশ হত্যা, থানা পুড়ানো  ও অস্ত্র লুটের পৃথক মামলা
   

শিক্ষার্থীদের কোটাবিরোধী আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নিলে সহিংসতার মাত্রা বাড়তে থাকে। ৫ আগস্ট দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়লে আন্দোলনকারীদের আবরণে একদল দুর্বৃত্ত সারাদেশে নির্বিচারে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে।  জালিয়ে দিয়েছে ১১৪ থানাসহ ৪৬০টি পুলিশি স্থাপনা, লুট করেছে অস্ত্রাগার। সেখানে সরকারি অস্ত্রের পাশাপাশি বিভিন্ন জনের লাইসেন্সকৃত অস্ত্র-গুলিও ছিল।

সহিসংতায় কয়েকশ ছাত্র-জনতার পাশাপাশি ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। শুধু ঢাকাতেই আহত হয়েছেন এক হাজার ১১৭ জন পুলিশ সদস্য। সারাদেশে আহত হয়েছেন আরো কয়েকশ পুলিশ। আন্দোলনে জড়িয়ে বিভিন্ন ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় মামলা হচ্ছে। তবে পুলিশ হত্যার পাশাপাশি থানায় আগুন ও লুটপাটের ঘটনায় এতদিন মামলা হয়নি।

আবার সরকার সময়সীমা বেঁধে দিলেও লুন্ঠিত অস্ত্র-গুলির অধিকাংশ জমা পড়েনি। বৃহস্পতিবার থেকে নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরা হত্যা মামলা দায়ের শুরু করেছেন। থানায় আগুন ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা শুরু হয়েছে শুক্রবার। লুন্ঠিত অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে শুরু হবে বিশেষ অভিযান।

পটপরিবর্তনের পর বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে জনমনে স্বস্তি ফেরাতে বিভিন্ন বাহিনীর সমন্বয়ে সহসাই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হবে। পুলিশের ঘুরে দাঁড়াতে সময় লাগায় এবং কয়েকটি জেলায় বন্যার কারণে অভিযান শুরুতে বিলম্ব হচ্ছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ নুরুল হুদা গতকাল ভোরের কাগজকে বলেছেন, জনমনে আস্থা ও কাজে গতি আনতে হলে নিজেদের অতীত কর্মকাণ্ডকে শুধরে নিয়ে পুলিশকে আরো দৃশ্যমান হতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনায় সন্দেহ হচ্ছে, এখনো কিছু কিছু পুলিশ সদস্যের মধ্যে আলস্যতা রয়েছে। তা কাটিয়ে তোলার ব্যবস্থা করতে হবে। আর থানা ও ফাঁড়ি যেগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেসব দ্রুত রিকনস্ট্রাক্ট করে কার্যক্রম চালু করতে হবে। তিনি

বলেন, থানা থেকে লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী যারা ইতোমধ্যে জমা দিয়েছেন, ভালো। আর যেসব অস্ত্র এখনো পাওয়া যায়নি তা উদ্ধারে দ্রুত কাজ শুরু করতে হবে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি বা মামলার ডকেট পুড়ে গেছে, সেসবের অনুলিপি যেখানে থাকতে পারে তা নিয়ম মেনে সংগ্রহের ব্যবস্থা করতে হবে।

আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত থানাগুলো সংস্কার বা মেরামত একটি বিষয়। মামলা করতে হলে অজ্ঞাত আসামি করে লাভ নেই। কারণ এসব ঘটনায় আসামি খুঁজে পাওয়ার সম্ভবনা কম থাকে। ফলে মামলার কোনো সুরাহা হবে না। যে মামলার সুরাহা হবে না- সেটির তদন্ত করতে জনবল ও রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করাটা অর্থবহ হবে না।

তবে যেহেতু এটি অপরাধ- তাই একমাত্র পন্থাই হচ্ছে মামলা দায়ের করা। এখানে আইনে কোনো বিকল্প নেই। অস্ত্র লুট, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় আলাদা মামলা হতে পারে। তবে মামলার সুরাহা হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে খুবই কম।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান গতকাল শনিবার বলেছেন, ডিএমপির ৫০টি থানার মধ্যে ২২টি থানা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিপুলসংখ্যক যানবাহন অগ্নিদগ্ধ হয়েছে। প্রচুর অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুণ্ঠিত হয়েছে। এ ধরনের ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন পুলিশ বাহিনী এর আগে কখনো হয়নি। বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে সময় লাগছে।

অবশ্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন থানা থেকে লুন্ঠিত অস্ত্র-গুলি জমা দিতে সাত দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। গত ১৯ আগস্ট সেই সময় শেষ হয়েছে। তার ঘোষণা মতে লুন্ঠিত অস্ত্র-গুলি উদ্ধারে অভিযান শুরু হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো তা শুরু হয়নি।

জানা গেছে, সহিংসতায় আন্দোলনের অংশ নেয়া লোকজন ছাড়া পথচারী এমনকি কয়েকজন শিশু গুলিতে নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় নিয়মিত হত্যা মামলা হচ্ছে থানা ও আদালতে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, মোহাম্মদ আলী আরাফাত, সাবেক এমপি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, সাবেক এমপি চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের প্রায় সবার নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আছে অজ্ঞাত কয়েক হাজার আসামি।

এছাড়া ৪৪ জন পুলিশ হত্যা, ১১৪টি থানাসহ ৪৬০টি পুলিশি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর এবং লুটপাট ছাড়া সহস্রাধিক যানবাহনে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে পৃথক মামলা দায়েরের কাজ শুরু হয়েছে। এসব মামলায় অজ্ঞাত হাজার হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত করে আসামিদের চিহ্নিত করবে বলে জানিয়েছে। পুলিশ হত্যা, স্থাপনা জ¦ালানো ও লুটপাটের অভিযোগে ৫ শতাধিক মামলা হতে পাবে বলে জানিয়েছে পুলিশের একটি সূত্র।

পুলিশ হেডকোয়াটার্সের একাধিক কর্মকর্তা বলেছেন, সব থানাই সরকারি স্থাপনা, পুলিশের অস্ত্র-গুলিও সরকারি। পুলিশ সরকারি আদেশ-নির্দেশ মেনে দায়িত্ব পালন করে। পুলিশ হত্যা, থানা, ফাঁড়ি ও বক্স জ¦ালানো, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় নিয়মিত মামলা দায়ের শুরু হয়েছে। প্রতিটি ঘটনার সুনির্দিষ্টভাবে মামলা করা হচ্ছে। গণভবনসহ সরকারি স্থাপনা পুড়ানো, ভাঙচুর এবং লুটপটের ঘটনায়ও মামলা হবে।

নরসিংদী, শেরপুর, সাতক্ষীরা কারাগারে হামলা করে ভাঙচুর চালিয়ে অস্ত্র লুট শেষে বন্দি কয়েদি-হাজতি ছিনতাইয়ের অভিযোগেও মামলা হবে। এসব ঘটনায় যেসব দুর্বৃত্ত জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। সব স্পটেই দুর্বৃত্তরা সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করে প্রমাণ লুকানোর চেষ্টা করেছে। তবুও জড়িতদের চিহ্নিত করতে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ছাত্র আন্দোলনের ভেতরে ঢুকে সুযোগ সন্ধানী দুর্বৃত্তরা অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে মনে করে পুলিশ।

পুলিশ সদর দপ্তর বলেছে, সহিংসতায় বাংলাদেশ পুলিশের ৪৪ জন সদস্য নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) রয়েছেন ৩ জন, নিরস্ত্র পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) রয়েছেন ১১ জন, নিরস্ত্র সহকারী পুলিশ উপপরিদর্শক (এএসআই) রয়েছেন ৭ জন, নায়েক ১ জন, কনস্টেবল ২১ জন ও এসটিএসআই ১ জন।

গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের দিন ও আগের দিন পুলিশ নিহতের ঘটনা বেশি ঘটে। নিহতরা হলেন- পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. রাশেদুল ইসলাম, পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আব্দুর রাজ্জাক, পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মাসুদ পারভেজ ভূঁইয়া, এসআই (নিরস্ত্র) শ্রী সুজন চন্দ্র দে, এসআই (নিরস্ত্র) খগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, এসআই (নিরস্ত্র) রেজাউল করিম, এসআই (নিরস্ত্র) মো. মামুনুর রশীদ সরকার, এসআই (নিরস্ত্র) মো. বাছির উদ্দিন, এসআই (নিরস্ত্র) মো. রইস উদ্দিন খান, এসআই (নিরস্ত্র) মো. তহছেনুজ্জামান, এসআই (নিরস্ত্র) প্রনবেশ কুমার বিশ্বাস, এসআই মো. নাজমুল হোসাইন, এসআই (নিরস্ত্র) আনিসুর রহমান মোল্যা, এসআই (নিরস্ত্র) সন্তোষ চৌধুরী, এএসআই (নিরস্ত্র) সঞ্জয় কুমার দাস, এএসআই (নিরস্ত্র) ফিরোজ হোসেন, এএসআই (নিরস্ত্র) মো. সোহেল রানা, এএসআই (নিরস্ত্র) রাজু আহম্মেদ, এএসআই (নিরস্ত্র) মো. ওবায়দুর রহমান, এএসআই (নিরস্ত্র) মো. রফিকুল ইসলাম, এএসআই (নিরস্ত্র) মো. মোক্তাদির, নায়েক মো. গিয়াস উদ্দিন, কনস্টবল মো. আব্দুল মজিদ, কনস্টেবল মো. রেজাউল করিম, কনস্টেবল মো. মাহফুজুর রহমান, কনস্টেবল মো. শাহিদুল আলম, কনস্টেবল মো. আবু হাসনাত রনি, কনস্টবল মীর মোনতাজ আলী, কনস্টেবল সুমন কুমার ঘরামী, কনস্টেবল মোহাম্মদ আব্দুল মালেক, কনস্টেবল মাইনুদ্দিন লিটন, কনস্টেবল মোহাম্মদ ইব্রাহীম, কনস্টেবল মো. আব্দুস সালেক, কনস্টেবল মো. হাফিজুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. রবিউল আলম শাহ্, কনস্টেবল মো. হুমায়ুন কবির, কনস্টেবল মো. আরিফুল আযম, কনস্টেবল মো. রিয়াজুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. শাহিন উদ্দিন, কনস্টেবল মো. হানিফ আলী, কনস্টেবল মো. এরশাদ আলী, কনস্টেবল মো. সুজন মিয়া, কনস্টেবল মো. খলিলুর রহমান ও এটিএসআই আলী হোসেন চৌধুরী। পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন ৫ আগস্ট, ১৪ জন নিহত হয়েছেন ৪ আগস্ট ও বাকি সদস্যরা বিভিন্ন সময় নিহত হন। এসব ঘটনায় মামলা হবে।

এদিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার উপপরিদর্শক (এস আই) মো. রিপন আহম্মেদ গত শুক্রবার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন। থানায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ৪৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেও মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন।

মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ওইদিন বিকালে আড়াইহাজার থানায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার দুর্বৃত্ত হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় হামলাকারীরা থানার বিপুল অস্ত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। হামলাকারীদের ভয়ে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে থানা ছেড়ে পালিয়ে গেলে যে যেভাবে পেরেছে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে অস্ত্র, গুলি ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।

অপরদিকে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট ও ভাঙচুর করে থানা পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় অজ্ঞাতসহ ৪০ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে। শুক্রবার বিকালে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, ৫ আগস্ট হামলাকারীরা থানায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এতে থানার গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ও মামলার স্পর্শকাতর আলামত আগুনে পুড়ে গেছে।এছাড়া বিপুল অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা হয়। হামলায় প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়েদুল হক বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ খ্রিষ্টাব্দের পেনাল কোড আইনের বিবিধ ধারায়, বিস্ফোরক আইনের ১৯০৮ এর ৩/৬ ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানায় হামলা, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৮-১০ হাজার আজ্ঞাত ব্যক্তির নামে মামলা হয়েছে গতকাল শনিবার।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে আশুলিয়ায় ডিভিশনাল স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের (ডিএসবি ও এসবি) তিন পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। একটি মামলায় অজ্ঞাত ১৫০ জনকে ও অপর মামলায় সংখ্যা উল্লেখ না করে অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে। আশুলিয়া থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন নিহত এএসআই সোহেল রানার স্ত্রী রেশমা পারভীন। অপর মামলাটি দায়ের করেন নিহত এসবির এএসআই রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রাব্বি আক্তার।

আশুলিয়া থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সায়েদ জানান, নিহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- ঢাকা জেলার ডিএসবি আশুলিয়া জোনে কর্মরত এএসআই সোহেল রানা, এএসআই রাজু আহমেদ এবং মালিবাগ এলাকায় কর্মরত এএসআই রফিকুল ইসলাম। এএসআই রফিকুল ইসলামকে ডিউটি শেষে আশুলিয়ার জিরানি বাজার এলাকার বাড়িতে ফেরার সময় আশুলিয়া থানা রোডের মাথায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

চট্টগ্রামে কোতোয়ালি থানায় হামলার মামলায় আসামি ৪০ হাজার : নগরীর কোতোয়ালি থানায় গত ৫ আগস্ট মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার মানুষের হামলা, অস্ত্র লুট, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত শুক্রবার বিকালে কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। যাতে অজ্ঞাতনামা ৪০ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

ঘটনার ১৮ দিন পরে দায়ের করা এ মামলায় দুষ্কৃতকারীরা থানায় হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। হামলার সময় থানার আসবাবপত্র লুটপাট, যানবাহন ভাঙচুর, থানায় অগ্নিসংযোগ, বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট করা হয়। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৩০ লাখ টাকার।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম ওবায়দুল হক সংবাদমাধ্যমকে জানান, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের বিবিধ ধারায়, বিস্ফোরক আইনের ১৯০৮ এর ৩/৬ ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ সালের ১৫(৩)/২৫-ডি ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App