×

প্রথম পাতা

থমথমে পোশাক শিল্পাঞ্চল

Icon

মরিয়ম সেঁজুতি

প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

থমথমে পোশাক শিল্পাঞ্চল

ছবি: সংগৃহীত

   

শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে আন্দোলন-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে। কিন্তু তাদের সুস্পষ্ট কোনো দাবি পাওয়া যাচ্ছে না। বকেয়া বেতন পরিশোধসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া সত্ত্বেও স্বাভাবিক হয়নি শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পরিস্থিতি। গতকাল বৃহস্পতিবার কোনো হামলা বা আন্দোলন না হলেও বন্ধ ছিল ২১৯টি পোশাক কারখানা। এর মধ্যে ১১৩ কারখানায় সাধারণ ছুটি ও বাকি ৮৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে পোশাক কারখানার নিরাপত্তায় পুলিশ, আর্মড পুলিশ, শিল্প পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সেনা সদস্যরা ছিলেন তৎপর। ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন কারখানার সামনে মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনীর সাঁজোয়া যান ও র‌্যাব-পুলিশের রায়ট কার।

শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা সংকট ও শ্রমিক বিক্ষোভ বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকে বলছেন, কিছু শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য তারা কারো কাছে যেতে পারছেন না। কারণ এই মুহূর্তে কোনো কার্যকর কর্তৃপক্ষ নেই। চলমান শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক কারখানা ভাঙচুর ও বন্ধ থাকায় এ পর্যন্ত আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)।

এর আগে গত ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার ৭০টি কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ৪৫টি কারখানা আইন-১৩ এর এক ধারা ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’ অনুযায়ী বন্ধ করা হয়। আর ২৫টি কারখানায় সাধারণ ছুটি ছিল। কিন্তু গতকাল সে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৯টিতে। এর মধ্যে ৮৬টি বন্ধ আছে ১৩ এর এক ধারা অনুযায়ী। অর্থাৎ কাজ না করলে কোনো বেতন-ভাতা, সুবিধা পাবে না। আর ১৩৩টি কারখানা সাধারণ ছুটি হিসেবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কারখানা কবে খুলে দেয়া হবে তা জানানো হয়নি। তবে শ্রমিকরা জানিয়েছেন, তারা কারখানা বন্ধ রাখার পক্ষে নন; তারা কাজ করতে চান। তাদের দাবি বাস্তবায়নে মালিকপক্ষসহ যারা রয়েছেন- তারা যেন এগিয়ে এসে কাজের পরিবেশ নিশ্চিত করেন। এদিকে, শ্রম অসন্তোষ সংক্রান্ত অভিযোগসহ শ্রমসংক্রান্ত সব ধরনের অভিযোগ জানাতে ১৬৩৫৭ নম্বরে কল দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। টোল ফ্রি এ নম্বরে কল করে শ্রমিকরা অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

মূলত অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে যখন দেশের অর্থনীতি সংস্কারে ব্যস্ত, তখন হঠাৎ করেই গত মাসের দিকে এসে অস্থির হয়ে ওঠে সাভার, আশুলিয়া, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জের তৈরি পোশাক শিল্প এলাকা। শ্রমিকদের দাবি মানতে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা ও শিল্পমালিকদের দফায় দফায় বৈঠকেও মিলছে না সুরাহা। রাতে কারখানায় কাজ করার প্রতিশ্রæতি মিললেও দিনের শুরুতেই নানা শঙ্কায় উৎপাদন বন্ধ রাখতে বাধ্য হন অনেক উদ্যোক্তা। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও আতঙ্ক কাটেনি। ফলে ব্যাহত হচ্ছে উৎপাদন।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হলে বিপাকে পড়বেন শ্রমিকরাই। তাই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে তাদেরই। অর্থনীতিবিদ এবি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকরা যদি নিজেদের শিল্পের কর্মসংস্থান ও বিনিয়োগের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে সচেতন না হয়, তাহলে ঝুঁকির মুখে পড়বে এ খাত। তাই কারো উসকানিতে পা না দিয়ে নিজেদের সচেতন হতে হবে।

জানা গেছে, চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এখনো স্বাভাবিক হচ্ছে না শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পরিবেশ। গতকাল বৃহস্পতিবার নতুন করে বন্ধ হওয়া কারখানাগুলোর সামনে সকালে শ্রমিকরা জড়ো হলেও পরে তারা ফিরে যান। এ ব্যাপারে বন্ধ কারাখানার কর্তৃপক্ষ জানান, তাদের শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা ফলপ্রসূ না হওয়ায় এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ায় চালু করা যাচ্ছে না কারখানা। তবে শ্রমিক, পুলিশ ও বিজিএমইএ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে।

শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১ এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম জানান, চলমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে এখন পর্যন্ত ৮৬টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে। এছাড়া ১২৩ কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছেন মালিকপক্ষ। বাকি কারখানাগুলোতে সকাল থেকে প্রবেশ করেছে শ্রমিকরা। তিনি আরো জানান, এখন পর্যন্ত কোথাও কোনো রকম সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে যৌথবাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য।

নিট পোশাক শিল্পমালিকদের শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ বলছে, বাংলাদেশের পোশাক শিল্পকে ধ্বংস করতেই তৈরি করা হচ্ছে এমন অস্থিরতা। সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, সরকার দায়িত্ব নিয়েছে মাত্র এক মাস হয়েছে; তাদের সময় দিতে হবে। রাজপথ নয়, আলোচনার টেবিলেই শ্রমিকদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস মোহাম্মদ হাতেমের। তিনি বলেন, শ্রমিকদের ন্যায্য দাবিকে বিকেএমইএ সব সময় পাশে আছে। সব সমস্যার সমাধান করা হবে। মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ষড়যন্ত্রকারী পরিবর্তন হয়েছে। আগে শুধু শ্রমিকরা দাবি-দাওয়া করত। এখন তৃতীয় শক্তি ঢুকেছে। শ্রমিকদের দাবি-দাওয়া মানলেও আন্দোলন থামছে না। অবশ্য তিনি জানান, ইতোমধ্যে শ্রমিকদের মধ্যে উসকানি দেয়া ছাত্রলীগ নেতা ইশতিয়াক আহমেদ হৃদয় গ্রেপ্তার হয়েছে। অন্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, এদিন বিভিন্ন কারখানা খোলা থাকলেও বিভিন্ন দাবি নিয়ে কারখানার ভেতরেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। পরে পরিস্থিতি ক্রমাবনতিতে একে একে বিভিন্ন কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ভার্চুয়াল বটয়ম, মন্ডল নিটওয়্যারস লিমিটেড, সিগমা ফ্যাশনস লিমিটেড, হা-মীম গ্রুপ, ক্রশওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিডেট, জিন্স প্রোডিউসার লিমিটেড, অরুনিমা গ্রুপের অরুনিমা স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড এবং ডিএমসি অ্যাপারেলস লিমিটেড, এস এম নিটওয়্যারস লিমিটেড, আগামী অ্যাপারেলস লিমিটেড, মানতা অ্যাপারেলস লিমিটেডসহ আরো ৭৪টি পোশাক কারখানা।

শ্রমিকরা জানান, টানা ১০ দিনের বেশি সময় ধরে কারখানার ভেতরে ও সড়কে শ্রমিকরা দাবি আদায়ের জন্য বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করে আসছেন। কিন্তু মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি নিয়ে টালবাহানা করছে। কিছু কাখানায় আশ্বাস দিয়েও শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়নি মালিকপক্ষ। এতে শ্রমিকদের আরো ক্ষোভ বাড়ে। এছাড়া যেসব কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করেছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগ কারখানায় গত মাসের শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা হয়নি। শ্রমিকরা আরো বলেন, গত বুধবার থেকে কিছু কারখানায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে কিছু কারখানায় শ্রমিকরা সকালে কাজে যোগ দিয়ে উৎপাদন শুরু করলেও কিছু সময় পর আবার সাধারণ ছুটি দিয়ে দিয়েছে। গতকালও (বৃহস্পতিবার) অনেকে কারখানায় এসে দেখেন কারখানার গেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিস। আবার কিছু কারখানায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দিলেও কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে বলে জানান শ্রমিকরা।

নিরাপত্তা শঙ্কায় আস্থা কমছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের : শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা সংকট ও শ্রমিক বিক্ষোভ বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কোম্পানি ও বিনিয়োগকারীদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চলমান পরিস্থিতি তাদের আস্থা কমিয়েছে। অনেক অঞ্চলে শিল্প পুলিশের উপস্থিতি কমেছে, এ কারণেও বিনিয়োগকারীদের আস্থায় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকে বলছেন, কিছু শিল্পাঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য তারা কারো কাছে যেতে পারছেন না। কারণ এই মুহূর্তে কোনো কার্যকর কর্তৃপক্ষ নেই।

বর্তমানে অনেক বিনিয়োগকারী চলমান সংকট সমাধান ও পুনরায় কাজ শুরু করতে কালেক্টিভ বারগেইনিং এজেন্টস (সিবিএ) নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। বিনিয়োগকারীরা বলেছেন, শ্রমিকরা বছরের মাঝামাঝি সময়ে হঠাৎ করে তাদের দাবি জানাচ্ছেন, এটি অস্বাভাবিক। মূলত সরকার পরিবর্তনের পটভূমিতে তারা এই আন্দোলন শুরু করেছে। তাদের ভাষ্য, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে হয়তো বহিরাগতদের একটি অংশ সুযোগ নিচ্ছে। এছাড়া বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আশঙ্কা, শ্রমিক বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে তা তাদের কারখানাতেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

প্রতি বছর কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক সংগ্রহ করে এমন একটি প্রধান ইউরোপীয় খুচরা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের একজন প্রতিনিধি বলেছেন, শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে তাদের পরিকল্পনায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। তিনি বলেন, কোম্পানির শিপমেন্টে দেরি হচ্ছে, এ বিষয়টি অস্বাভাবিক। আমাদের ধারণা, আসন্ন ক্রিসমাসে এটি আমাদের বিক্রিতে প্রভাব পড়বে। শিল্পাঞ্চলগুলোতে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বলেন তিনি।

ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফআইসিসিআই) সাবেক সভাপতি ও বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রূপালী চৌধুরী বলেন, আমরা জানি না এই পরিস্থিতির পেছনে কারা আছে। শিল্প পুলিশ এখনো পুরোপুরি কার্যকর না, তাই নিরাপত্তার জন্য আমরা কার কাছে যাব তাও জানি না। জরুরিভিত্তিতে পরিস্থিতির উন্নতি করতে হবে। আমাদের হাতে সময় খুব কম। তিনি বলেন, অনেকের মতো আমাদের কর্মীরাও বিক্ষোভ করেছেন, তবে ম্যানেজমেন্ট সিবিএ নেতাদের সঙ্গে বসে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বিষয়গুলো সমাধান করেছে।

শ্রমিক অসন্তোষে ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে : চলমান শ্রমিক অসন্তোষে পোশাক কারখানা ভাঙচুর ও বন্ধ থাকায় আনুমানিক ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ন্যাশনাল বিজনেস ডায়লগ’ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানায় সংগঠনটি। বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে দেশে শতাধিক কারখানা ভাঙচুর ও ২ শতাধিক কারখানা বন্ধ রাখতে হয়েছে। এতে অন্তত ৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। চলমান এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিল্পাঞ্চলে যৌথ বাহিনীর অধিকতর উপস্থিতি নিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছে আইসিসি।

এর আগে, গত ১১ সেপ্টেম্বর তৈরি পোশাক খাত (আরএমজি) এবং নন-আরএমজি খাতের শ্রম অসন্তোষ পর্যালোচনায় শ্রমসংক্রান্ত অভিযোগ পর্যবেক্ষণ কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। উপদেষ্টা বলেন, আপাতত শ্রমিকরা যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হচ্ছেন এবং তাদের দাবিগুলো যাতে নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করতে পারেন- সে লক্ষ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App