তিন কারণে বেড়েছে অস্থিরতা

ঝর্ণা মনি
প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবিটি ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময়কার।
প্রতিদিনই কোনো না কোনো ইস্যুতে বিশৃঙ্খলা ও সংঘাত ঘটছে। ঘটনার পর ঘটনা সামাল দিতেই সময় পার করছে অন্তর্বর্তী সরকার। বিভিন্ন দাবি নিয়ে ছাত্রদের আন্দোলন, শ্রমিক আন্দোলন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে একজন আইনজীনী খুন- এক সপ্তাহের এসব ঘটনা জনমনে উৎকণ্ঠা তৈরি করছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন, এসব কী হচ্ছে? কেন হচ্ছে? প্রশ্ন উঠেছে- একের পর এক যে ঘটনাগুলো ঘটল তা কি স্বাভাবিক? সবগুলোকেই কি বিচ্ছিন্ন বিশৃঙ্খলার ঘটনা?
অথবা গণঅভ্যুত্থানের পর ধারাবাহিকভাবে যেসব ঘটনা ঘটেছে; সেই আনসার সদস্যদের সচিবালয় ঘেরাও থেকে শুরু করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বা তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণার দাবি- এগুলো নিছক নির্দোষ আন্দোলন? সরকার নিজেও এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। তারা মনে করছে, পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন- হতাশা, অপ্রাপ্তি এবং অনিশ্চয়তা- এই তিন কারণে বেড়েছে অস্থিরতা। তাদের মতে, ইতোমধ্যেই সরকার এবং সমন্বয়কদের কথা ফারাক বেশ লক্ষণীয়।
এছাড়া, সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে ফারাক আরো বাড়ছে। ফলে, যে আকাশচুম্বী প্রত্যাশা নিয়ে দায়িত্ব নিয়েছিল অন্তর্বর্তী সরকার, তিন মাস পর প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে ব্যবধান বাড়ায় হতাশা এবং অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারকে রাজনৈতিক দল এবং জনগণের ভাষা বুঝে সুনির্দিষ্ট সংস্কারে মনোযোগ বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে রাজনৈতিক দলসহ জনগণের মধ্যে ঐকমত্য জরুরি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার ও সোমবার বিভিন্ন কলেজের ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষে পুরান ঢাকা ও যাত্রাবাড়ী পরিণত হয়েছিল রণক্ষেত্রে। এ সময় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল লক্ষ্মীবাজার ও জনসন রোডসহ পুরান ঢাকার বড় এলাকা। সোমবার দীর্ঘ সময় বন্ধ ছিল ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ডেমরা অংশ। এই দুদিনে হামলা শিকার হয় বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও
একটি হাসপাতাল। এসব হামলায় তিন তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। সেখানে এখন শিক্ষা কার্যক্রম চলার উপায় নেই। রবিবার রাতে তেজগাঁওয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ও বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এদিকে ওইদিন রাজধানীর প্রেস ক্লাব, মোহাম্মদপুর, যাত্রাবাড়ী ও ধানমন্ডি এলাকা অবরুদ্ধ ছিল ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের আন্দোলনে। শ্রমিক অসন্তোষের কারণে কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক।
সোমবার শাহবাগে ‘অহিংস গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামের সংগঠনের উদ্যোগে লোক জমায়েতের চেষ্টা হয়েছে। ঋণ দেয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে তাদের ঢাকায় আনা হয়। আর মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ঘটেছে ভয়াবহ ঘটনা। সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার ও তাকে কারাগারে পাঠানোকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম ছিল উত্তাল। নিহত হন সহকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম।
গতকাল বৃহস্পতিবারও নয় দফা দাবিতে সচিবালয়ে আন্দোলন করেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা। বেতন বৈষম্য কমিয়ে আনাসহ এক সপ্তাহের মধ্যে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের ৯ দফা দাবি না মেনে নিলে আগামী বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে প্রাঙ্গণে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
প্রতিদিন এসব অস্থিরতার পেছনের কারণ খুঁজছেন সাধারণ মানুষ থেকে বিশ্লেষকরা। ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করছে সরকারপক্ষও। সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বড় কোনো পরিকল্পনা না থাকলে একদিনে (রবিবার) এতগুলো ঘটনা কাকতালীয় নয়। সরকার সফলভাবে কাজ করুক এটা হয়তো অনেকেই চাইছে না। সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মনে করছেন- এখানে নানা পক্ষের পরিকল্পনা আছে।
উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক দলগুলোও : গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ও সহায়ক রাজনৈতিক শক্তিগুলোও এসব ঘটনায় উদ্বিগ্ন। বিএনপি ও জামায়াত- দুটি দলই মনে করে, দেশে যে সংঘাত ও সহিংসতার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে- এর পেছনে দেশের ভেতর ও বাইরে আওয়ামী লীগ নেপথ্যে থেকে কাজ করছে। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব চলমান সংঘাত ও সহিংসতার ঘটনায় সবাইকে ‘সজাগ ও সতর্ক’ থাকতে বলেছেন। পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের দৃশ্যমান উদ্যোগ নেই বলে মনে করে দলটি। ‘সারাদেশে একটি পরিকল্পিত নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা ক্রমেই দৃশ্যমান হয়ে উঠছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যেসব ঘটনা ঘটেছে, এ ঘটনাগুলোকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখার অবকাশ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতা বিনষ্টকারীদের অপতৎপরতা উদ্বেগজনক হয়ে দেখা দিয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। গত কয়েকদিনে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও হানাহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও।
গত বুধবার শহীদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি বলেন, চিন্তা করা যায়, ধর্মকে কেন্দ্র করে কী উন্মাদনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে! ৫ আগস্টের বিপ্লবের তিন মাস না যেতেই আসল চেহারা বের হয়ে আসতে শুরু করেছে। এই কটা দিনে আমরা খুব চিন্তিত, উদ্বিগ্ন, ভয়াবহভাবে উদ্বিগ্ন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচনের পথে যেতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে যারা সরকারের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন, তাদের এমন কোনো কথা না বলার অনুরোধ করেন- যাতে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়।
ঐকমত্যের তাগিদ জামায়াতেরও : রাজধানীর যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার বলেন, দল-মত-ধর্ম ভিন্নতা থাকবেই, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু জাতীয় স্বার্থে আমরা যেন একমত থাকতে পারি। শুধু ইসকন নয়, জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই যাবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। দেশের স্বার্থবিরোধীদের কর্মকাণ্ড আইনের আওতায় আনতে হবে।
ছোট ছোট বিষয় নিয়ে বিরোধে না জড়াতে আহ্বান সরকারপক্ষের : এদিকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে বিরোধে না জড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন উপদেষ্টারা। বৈঠক শেষে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে বন, পরিবেশ ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সবকিছু আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান হচ্ছে। যে কোনো বিষয়েই রাস্তায় নামার প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট বিষয় নিয়ে বিরোধে না জড়াতে আহ্বান জানান তিনি। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেন, কোনো সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। নির্বাচনী কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে সংস্কারের পরই নির্বাচন দেয়া। তবে সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত আসবে।
উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি : গত বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে ষোড়শ সংশোধনীর রায়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্যের অভিযোগে হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চের নেতৃত্বদানকারী বিচারপতিকে বেঞ্চ থেকে নেমে যেতে বলেন একদল আইনজীবী। তখন দুই বিচারপতি বেঞ্চ থেকে নেমে যাওয়ার সময় ডিম নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে নজিরবিহীন অনভিপ্রেত ঘটনা ও দেশের জেলা আদালতে সাম্প্রতিক সময়ে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব বিষয় সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধান বিচারপতি। আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত এবং আদালতের ভাবমূর্তি বজায় রাখতে দেশের প্রতিটি আদালত ও ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ, এজলাস, বিচারকদের বাসভবন, বিচারক, কর্মচারীসহ আদালত-সংশ্লিষ্ট সবার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রধান বিচারপতি দেশের সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
জাতীয় ঐক্যমত দরকার : চলমান অস্থিরতায় জাতীয় ঐকমত্য জরুরি মন্তব্য করে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ভোরের কাগজকে বলেন, সামগ্রিক অস্থিরতার বহিঃপ্রকাশ। বর্তমানে যা হচ্ছে তার দায় কোনোভাবেই অন্তর্বর্তী সরকার এড়াতে পারে না। এর প্রধান বিষয় হচ্ছে- ক্ষমতায় যখন তাকে সম্মিলিতভাবে বসানো হলো, সুতরাং শুরুতেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য মানুষকে আস্থায় নিয়ে তাকে রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা নেয়া উচিত ছিল। এখানে মনে রাখতে হবে, দীর্ঘ ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে আমরা যে গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত করেছি, এখানে নানা ধরনের অপশক্তি আছে, থাকবে এটি স্বাভাবিক। তারা বিভিন্ন ঘটনা ঘটনাতে চাইবে।
সুতরাং, এগুলো প্রতিহত করে এগোনোর জন্য সব শ্রেণিপেশার মানুষের ঐক্য গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, আমার ধারণা শুরুতে এই কাজটি ঠিকমতো না করার কারণে নানা ধরনের সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। সেটি বিবেচনায় রেখে আগামীতে যেন এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেই পদক্ষেপ সরকারের নেয়া উচিত বলে আামি মনে করি। এজন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক এবং জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে।
দেশের মানুষের ঐক্য বিনষ্ট করার সুযোগ দেয়া যাবে না বলে মনে করে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির পক্ষে অর্থনীতিবিদ আনু মুহাম্মদের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণঅভ্যুত্থানের পরে গত তিন মাসে একের পর এক মাজারে হামলা হলো, হিন্দুদের বাড়িঘরেও হামলা হলো, শ্রমিকের ওপর গুলি চলল, ক্ষুদ্র জাতিগেষ্ঠীর মানুষের ওপর হামলা হলো, রিকশাওয়ালাদের ভিলেন (খলনায়ক) বানানোর চেষ্টা চলল, নারীবিদ্বেষী প্রোপাগান্ডা চলল, ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী কাজকর্ম চলল, বাজারে সিন্ডিকেটবাজি চলল- কিন্তু এই সবকিছুতেই সরকারের ভূমিকা আশ্চর্যজনকভাবে প্রায় নিষ্ক্রিয় এবং অকার্যকর থাকল। দেশের মানুষের মধ্যে ঐক্যের বিকল্প নেই।
বিশ্লেষকদের মতে, টানেল শেষে আলো আসবেই। এজন্য সময় দরকার। জানতে চাইলে প্রফেসর ডক্টর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ ভোরের কাগজকে বলেন, বিপ্লবোত্তর সমাজে অস্থিরতা থাকবে, এটিই স্বাভাবিক। পরিস্থিতি ছিল অগ্নিগর্ভ। সেটি স্থিতিশীল হতে সময় নেবে। বিশ্বের যে কোনো দেশেই এমনটা হয়ে থাকে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। আর যেখানে এতগুলো মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন; সেখানে আবেগ খুব উচ্চমার্গে অবস্থান করবে- এটিই স্বাভাবিক। আর এরোগেন্স অব ইয়ুথ বলে একটা কথা রয়েছে। কলেজ শিক্ষার্থীরা যে মারামারি করছে সমাজবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে এটিই এরোগেন্স অব ইয়ুথ। অন্তর্বর্তী সরকারের সব সংস্কার কাজ একসঙ্গে হাতে নেয়ার কারণে একটি বড় প্রক্রিয়ার মধ্যে আমরা ঢুকে গেছি। টানেলের শেষে আলো হয়তো অনেক দূরে, ওখানে পৌঁছাতে আমাদের হয়তো অনেক সময় লাগবে, তাই এজন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সময় লাগবে।