রামু-ঘুমধুম রেললাইন প্রকল্প বাদ হচ্ছে, কমছে ব্যয়

চট্টগ্রাম অফিস
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত প্রথম ধাপে ১০০ দশমিক ৮৩ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইন রেলপথ নির্মাণ হয়েছে। ২য় ধাপে প্রকল্প সংশোধনের মাধ্যমে বাদ দেয়া হচ্ছে ২৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রামু থেকে ঘুমধুম পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণকাজ।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় রামু-ঘুমধুম অংশ বাদ দিয়ে প্রকল্পের উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) দ্বিতীয়বার সংশোধনের প্রস্তাব দেয়া হয়। এতে নির্মাণ ব্যয় ১১ হাজার ৩৬৩ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি অনুমোদন পেলে এ প্রকল্পের ব্যয় কমবে ৬ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা। এছাড়া প্রকল্পের মেয়াদ আরো এক বছর বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, যা অনুমোদিত হলে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৩০ জুন।
জানা যায়, ২য় ধাপে রামু স্টেশন থেকে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী ঘুমধুম পর্যন্ত ২৮ দশমিক ৭২ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কক্সবাজারের উখিয়া ও বান্দরবানের ঘুমধুমে দুটি স্টেশন নির্মাণ করার কথা ছিল। ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে রুট-১ এ যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে এ প্রকল্প নেয়া হয়। তবে মিয়ানমারের বাংলাদেশ সীমান্তের অংশের পুরোটাই পাহাড়ে ঘেরা হওয়ায় এই পাহাড় ভেদ করে মিয়ানমারের মূল অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ অবাস্তব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্পটি সংশোধনের কারণে ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন, মূল রেললাইন নির্মাণ, নতুন আরোপিত সিডি-ভ্যাট, পরামর্শক, প্রকল্প ব্যবস্থাপনা ইউনিট ও মূল্য সমন্বয় ব্যয় কমছে। প্রকল্পের বর্তমান ব্যয় ১৮ হাজার ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩ হাজার ১১৫ কোটি টাকা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) ঋণ। বাকি ৪ হাজার ৯১৯ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারের। ডিপিপির দ্বিতীয় সংশোধনীতে এডিবির ঋণ ৮ হাজার ৬৫১ কোটি ও বাংলাদেশ সরকারের অংশ ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেলালাইন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. সুবক্তগীন জানান, ঘুমধুম অংশ বাদ দেয়ায় নির্মাণ ব্যয় কমছে। ফিডিক কন্ট্রাক্টের সব নিয়ম মেনে ডিপিপি সংশোধনের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে তৎকালীন সরকারের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন দেয়ার সময় দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার ও রামু থেকে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত ১২৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণে প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়া হয়েছিল।