তাপমাত্রা ৯.৮ ডিগ্রি
পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
পৌষের মাঝামাঝি এসে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আবার মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। কয়েকদিন আগে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও আবার তা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে নেমে এসেছে। সারাদেশেই দিন ও রাতের তাপমাত্রা আস্তে আস্তে কমছে। তাই জানুয়ারির শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে তাপমাত্রা ওঠানামা করায় জেলা ও উপজেলায় বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
সোমবার সন্ধ্যায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এদিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ে, ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগের দিন সকালে ছিল ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কক্সবাজার ও সীতাকুণ্ডে, ৩০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার সর্দারপাড়া গ্রামের দিনমজুর মোজাম্মেল ও জয়নুল জানান, দিন-রাত দুই রকম তাপমাত্রা অনুভব হচ্ছে। সন্ধ্যা থেকে পরের দিন সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কনকনে শীতে হাড় কাঁপছে। রাতে একাধিক কম্বল, লেপ নিলেও মনে হয় ঠাণ্ডা লাগে। উপায়ন্তর না পেয়ে সন্ধ্যা ও ভোরে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন তারা।
দিনে ও রাতে দুই রকম তাপমাত্রার কারণে জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোয় বাড়ছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড়। প্রতিনিয়ত হাসপাতালগুলোয় রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পরিবেশকর্মী তানভিরুল ইসলাম বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে দিন ও রাতের তাপমাত্রা দুই রকম হচ্ছে। দিনে গরম, রাতে প্রচুর ঠাণ্ডা। তাই পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রংপুর বিভাগে গতকাল বৃষ্টির আভাস দেয়া হলেও তা হয়নি।
আবহাওয়ার ‘সিনপ্টিক’ অবস্থা সম্পর্কে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।