×

খবর

গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

গ্যাস সংকটে চরম ভোগান্তি

ছবি:সংগৃহীত

   

রাজধানী ও আশপাশের অনেক স্থানে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে গত কয়েকদিন ধরে। গ্যাসের অভাবে বাসাবাড়ির চুলা জ্বলছে না। অনেক কলকারখানার উৎপাদনও চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, একদিকে গ্যাস সরবরাহ সব সময়ই ঘাটতি থাকে। এর ওপর আবার বিবিয়ানা ও তিতাস গ্যাসক্ষেত্রে রক্ষণাবেক্ষণ কাজ চলছে। এ কারণে গত কয়েকদিন ধরে উৎপাদন কিছুটা কমেছে। গতকাল সোমবার রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে একটি এলএনজি টার্মিনাল বন্ধ থাকবে। সব মিলিয়ে আরো দুই-একদিন গ্যাসের চাপ কম থাকবে। এরপরই সংকট কেটে যাবে। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার জানিয়েছেন, শীত মৌসুমে বিদ্যুৎ খাতে গ্যাসের চাহিদা কম থাকায় সার কারখানায় সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। গ্রাহক চাহিদাও কম থাকায় এই সময় রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এতে উৎপাদন ও সরবরাহ আরো কিছুটা কমেছে। মঙ্গল-বুধবার থেকে গ্যাসের সরবরাহ আবার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে দিন দিন উৎপাদন কমেই চলছে। আগামী পাঁচ বছর এই গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ধরে রাখাই কঠিন হবে। গ্যাস সংকট থেকে উত্তরণের একটাই উপায়- দেশের গ্যাস উৎপাদন বাড়ানো।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে সবচেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে মজুতের দিক থেকে তিতাস হলো সবচেয়ে বড় গ্যাসক্ষেত্র। পেট্রোবাংলা দুটি গ্যাসক্ষেত্রের রক্ষণাবেক্ষণ কাজে হাত দিয়েছে। এ কারণেই একদিকে যেমন উৎপাদন কিছুটা কমেছে। তেমনি সরবরাহও কমেছে। এছাড়া একটি এলএনজি টার্মিনালের রক্ষণাবেক্ষণ কাজও শুরু হয়েছে। এ কারণেই মূলত গ্যাসের সংকট বেড়েছে। বর্তমান চাহিদা অনুযায়ী দেশে প্রতিদিন ৩৮০ কোটি ঘনফুট গ্যাসের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু ঘাটতির কারণে সরবরাহ করা হতো ৩০০ কোটি ঘনফুট। এই গ্যাস অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাতগুলোতে আগে সবরাহ করা হয়। গরমের সময় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোতে বেশি গ্যাস সরবরাহ করা হয়। দুটি গ্যাসক্ষেত্র ও একটি এলএনজি টার্মিনালের রক্ষণাবেক্ষণের কারণে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ২৮৪ কোটি ঘনফুট।

বর্তমানে বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাওয়ায় সার উৎপাদন বাড়াতে কারখানাগুলোতে বেশি গ্যাস দেয়া হচ্ছে। এর ফলে আবাসিক ও অন্যান্য খাতের গ্রাহকদের চাহিদা অনুযায়ী গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব হয় না। তাই চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হয়। গ্যাসের উৎপাদন ও সরবরাহে সব সময়ই ঘাটতি থাকে। গ্যাসের সংকটে আবাসিক গ্রাহক ও শিল্প কারখানার গ্রাহকরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় পাইপলাইনে গ্যাস না পেয়ে বাসাবাড়ির চুলা জ্বলছে না।

অনেকেই উপায় না পেয়ে সিলিন্ডার গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।

এদিকে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, সাভার, আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকার শিল্পকারখানাগুলো ভোগান্তিতে পড়েছে। এসব এলাকার অনেকেই মাটির চুলায় রান্না করছেন। অথচ প্রতি মাসেই বিল দিতে হচ্ছে। আবার অনেকেই এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করায় মাসিক খরচ প্রায় ২ হাজার টাকা বেড়েছে। গাজীপুরে গ্যাস সংকটে ভুগছে পোশাকশিল্প কারখানা। অধিকাংশ কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে ভোগড়া, বাসন সড়ক, কড্ডা, কোনাবাড়ী, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর, মৌচাক, পল্লী বিদ্যুৎ, কালিয়াকৈর বাজার, সাহেব বাজারসহ ২৫-২৬টি অঞ্চলে গ্যাস সংকট চলছে। অনেক স্পিনিং মিলস বন্ধ।

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা, পঞ্চবটি, টানবাজার, সাহাপাড়া, বাবুরাইল, পাইকপাড়া, তামাকপট্টি, নলুয়া, ভূঁইয়াপাড়া, নয়াপাড়া, জল্লারপাড়, দেওভোগ, কালিরবাজার, কাশিপুর, রূপগঞ্জ আড়াইহাজার ও সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় গ্যাসের সংকট চলছে। বিসিক শিল্পনগরী, সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড, ফতুল্লা, রূপসী, কর্ণগোপ, কাঁচপুর শিল্পাঞ্চলগুলোর শিল্পকারখানাগুলোতেও গ্যাসের সংকট চলছে। রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক কারখানা, স্পিনিং, টেক্সটাইল, রি-রোলিং মিলসহ বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App