২০২৩-২০২৪ মৌসুমের ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য গত বুধবার রাতে মনোনীত ৩০ জনের তালিকা প্রকাশ করেছে ফ্রান্স ফুটবল। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ জেতা রিয়াল মাদ্রিদ থেকে মনোনীত ব্যক্তিদের তালিকায় জায়গা পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৭ জন। তবে সেখানে নাম নেই রিয়ালের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগোর। ইএসপিএনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজের হতাশার কথা জানিয়েছেন তিনি। রিয়ালকে গত মৌসুমে ৩টি শিরোপা জেতাতে অন্য সতীর্থদের মতো রদ্রিগোরও অবদান কম নয়। ২৩ বছর বয়সি এই ফুটবলার গত মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের হয়ে করেছেন ১৭ গোল, গোলে সহায়তা ৯টি। কিন্তু তার এই দারুণ পারফরম্যান্সও ব্যালন ডি’অরে মনোনীত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হয়নি। রদ্রিগোকে শীর্ষ ৩০ জনের তালিকায় না দেখে ব্রাজিলের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন। ব্রাজিল জাতীয় দলের অধিনায়ক নেইমার বলেছেন, তিনি তার জাতীয় দলের সতীর্থ রদ্রিগোকে শীর্ষ পাঁচে দেখেন।

নেইমারের পর এবার রদ্রিগো নিজেই তার অনুভূতির কথা জানিয়েছেন। ইএসপিএনকে তিনি হতাশা নিয়ে বলেছেন, ‘আমার মন খারাপ হয়েছিল। আমি মনে করি, এটা আমার প্রাপ্য ছিল। ৩০ জনের তালিকায় থাকা খেলোয়াড়দের আমি ছোট করতে চাই না। কিন্তু সেখানে আমার জায়গা হতে পারত। জায়গা না পাওয়াটা আমার জন্য বিস্ময়কর ব্যাপার ছিল। কিন্তু এটা নিয়ে আমার তেমন কিছু করার নেই, এসব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার আমি কেউ নই।’

দলের প্রয়োজনে আক্রমণভাগের যে কোনো পজিশনে মানিয়ে নিতে পারেন রদ্রিগো। সেন্টার ফরোয়ার্ড কিংবা রাইট উইং ভূমিকাতেই সাফল্য পেয়েছেন।ৎ গতি, পাসিং, ড্রিবলিং, ফিনিশিংয়েও বেশ দক্ষ। এই যেমন গত শনিবার ইকুয়েডরের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া তার বুদ্ধিদীপ্ত শটের একমাত্র গোলে জিতেছে ব্রাজিল।

রদ্রিগোরও দাবি, তিনি নিজের জন্য নয়, সব সময় দলের জন্য খেলেন। এই নিঃস্বার্থ নিবেদন ও বহুমুখিতাই ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় তার বিরুদ্ধে গেছে বলে মনে করেন রদ্রিগো, ‘প্রায়ই আমাকে শূন্যস্থান পূরণ করতে হচ্ছে। ওখানে কেউ নেই? রদ্রিগোকে পাঠাও। ডান প্রান্তে কেউ নেই? রদ্রিগো আছে। দলের কেউ নম্বর নাইনকে মিস করছে? সেখানে রদ্রিগো আছে। আমার মনে হয়, এটাই কারণ। ব্যাপারগুলো কিছুটা হলেও আমার পক্ষে যেতে পারত।’

ব্যালন ডি’অরে মনোনীত ৩০ জনের তালিকায় জায়গা না হলেও কার্লো আনচেলত্তির দলে নিজেকে একরকম অপরিহার্য সদস্য হিসেবে গড়ে তুলেছেন রদ্রিগো। কোচের চাওয়ামতো যে কোনো পজিশনে খেলতে পারেন বলেই কিলিয়ান এমবাপ্পে রিয়ালে আসার পরও একাদশে নিয়মিত জায়গা করে নিচ্ছেন।