টিউলিপের অসচেতনতা দুঃখজনক: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১২ এএম

টিউলিপ সিদ্দিক
বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক তার পরিবারের সম্পৃক্ততার ‘সম্ভাব্য ঝুঁকি’ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না, এটি ‘দুঃখজনক’।
টিউলিপ সিদ্দিকের পদত্যাগ ইস্যুতে এক চিঠিতে এমন মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস। তিনিই টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠার অভিযোগের তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা স্যার লরি ম্যাগনাস প্রধানমন্ত্রী বরাবর দেওয়া চিঠিতে বলেছেন, টিউলিপ তার পরিবারের সঙ্গে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পৃক্ত থাকার ‘সম্ভাব্য ঝুঁকি’ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। এটি ‘দুঃখজনক’। খবর দ্যা টেলিগ্রাফের
শেখ হাসিনা গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছরের ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে আশ্রয়ে নিয়েছেন। দুর্নীতি ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশের আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
তার সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের অর্থায়নে ক্রয় করা সম্পত্তি থেকে টিউলিপ সিদ্দিক সুবিধা পেয়েছেন- এমন খবর ব্রিটেনের সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এরপর ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে খোদ ক্ষমতাসীন লেবার পার্টি। টিউলিপের পদত্যাগের দাবি তোলে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি।
স্যার লরি ম্যাগনাস চিঠিতে লিখেছেন, টিউলিপ সিদ্দিক স্বীকার করেছেন যে, দীর্ঘ সময় ধরে তিনি কিংস ক্রসে কীভাবে ফ্ল্যাটের মালিক হলেন সে সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলেন। যদিও সম্পত্তি হস্তান্তরের সময় তিনি একটি ভূমি রেজিস্ট্রি ট্রান্সফার ফরমে স্বাক্ষর করেছিলেন। তবে তিনি মনে করেছিলেন, তার বাবা–মা ফ্ল্যাটটি তাকে উপহার দিচ্ছেন এবং পূর্বের মালিকের কাছ থেকে এটি কেনা হচ্ছে।
ফলে ২০২২ সালে এক প্রশ্নের জবাবে টিউলিপ ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ সম্পত্তির দাতার পরিচয় নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছেন। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ভুল বোঝাবুঝি ছিল, যার ফলে মন্ত্রী হওয়ার পর তিনি (টিউলিপ) তার মালিকানাধীন সম্পত্তির উৎস সম্পর্কে জনসম্মুখে সংশোধনী দেন।
ম্যাগনাস আরও বলেন, টিউলিপ সিদ্দিক মন্ত্রিত্বের আচরণবিধি ভঙ্গ করেননি। তবে যুক্তরাজ্যের আর্থিক খাতের প্রচার ও এর নিয়ন্ত্রক কাঠামোর সততা বিষয়ক মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব থেকে এ ধরনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন না থাকাটা ‘দুঃখজনক’।
ম্যাগনাস বলেন, টিউলিপ সিদ্দিকের মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব ও বাংলাদেশের সাবেক সরকারের সঙ্গে তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ঝুঁকি সম্পর্কে আরো সতর্ক থাকা উচিত ছিল।
আমি এ বিষয়টি মন্ত্রিসভার আচরণবিধির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছি না। তবে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) তার বর্তমান দায়িত্বগুলো এ আলোকে বিবেচনা করতে পারেন।