গরুর দুধে বার্ড ফ্লু শনাক্ত

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় বেশ কয়েকটি গরুর দুধে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজ্য গভর্নর গ্যাভিন নিউজের এক বিবৃতিতে রাজ্যজুড়ে এই জরুরি অবস্থা জারির কথা জানান।
ফেডারেল এবং রাজ্য কর্মকর্তারা বার্ড ফ্লু ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছেন, যা ২০২৪ সালে প্রথমবারের মতো গবাদি পশুর মধ্যে সংক্রমণ ঘটিয়েছে।
এক বিবৃতিতে গ্যাভিন নিউজম জানান, সরকারি সংস্থাগুলো যাতে বার্ড ফ্লু রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারে সেই জন্য রাজ্য জুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
এনবিসি নিউজ জানিয়েছে, বুধবার প্রথম একজন গুরুতর বার্ড ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির খবর পাওয়া গেছে। ৬৫ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির অবস্থান গুরুতর। তার শরীরে নানা লক্ষণ দেখা দিয়েছে।
গভর্নর নিউজম বলেছেন, সরকারি সংস্থাগুলো যাতে এই প্রাদুর্ভাব কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে পারে সেজন্য রাজ্যজুডে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
লুইসিয়ানার এক বাসিন্দার শরীরে গুরুতর বার্ড ফ্লুর লক্ষণ দেখা দেয়। বুধবার সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন লুইসিয়ানায় প্রথম একজন গুরুতর বার্ড ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির খবর জানিয়েছে। তবে, ক্যালিফোর্নিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা এখন পর্যন্ত সেখানকার কোনও বাসিন্দার থেকে অন্য কোনও বাসিন্দার শরীরে বার্ড ফ্লু সংক্রমণের খবর পাননি বলে জানিয়েছেন।
এই ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে মানুষের জন্য ঝুঁকির মাত্রা খুব সামান্য।
নিউজম বলেছেন, জনগণের মধ্যে ঝুঁকি কম থাকলেও আমরা এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ অব্যাহত রাখব।
সর্বপ্রথম বার্ড ফ্লু এ বা এইচফাইভএন১ ভাইরাস শনাক্ত হয় ১৯৯৬ সালে। তবে ২০২০ সাল থেকে বার্ড ফ্লু আক্রান্ত পাখির সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়। তখন থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বাড়তে দেখা গেছে।
চলতি বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে গরু ও ছাগলও এ তালিকায় যুক্ত হয়। এতে বিশেষজ্ঞরা হতবাক হন। কারণ, এর আগে পর্যন্ত পশুরা এ ধরনের ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে বলে ধারণাই করা হতো না।
২০২২ সাল থেকে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে বার্ড ফ্লু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সংখ্যা বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, এরপর থেকে এই রোগের সংক্রমণ প্রতিহত করতে পোলট্রি খামারগুলোতে ১০০ মিলিয়নেরও বেশি পাখি হত্যা করা হয়েছে।