পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড দখলে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি ট্রাম্পের

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি পানামা খাল ও গ্রিনল্যান্ড দখলের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সামরিক শক্তি ব্যবহারের হুমকি দিয়েছেন। মার-এ-লাগোতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই বক্তব্য দেন। ট্রাম্প বলেন, পানামা খাল এবং গ্রিনল্যান্ড আমেরিকার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো দখল নেয়া আমার পরিকল্পনায় রয়েছে।
গ্রিনল্যান্ড কেনার প্রস্তাবে ডেনমার্কের অনাগ্রহ সত্ত্বেও ট্রাম্প শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। ডেনমার্ক সরকার ইতোমধ্যে জানিয়েছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির কোনো ইচ্ছা তাদের নেই। তবে ট্রাম্পের যুক্তি, গ্রিনল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য।
পানামা খালের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, এটি পুনর্দখলের পরিকল্পনা রয়েছে তার। তবে পানামার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাভিয়ের মার্তিনেজ-আচার এই হুমকির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ শুধু পানামার হাতেই থাকবে।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি আগ্রাসী বিদেশনীতি অনুসরণ করবেন। কানাডাকে মার্কিন রাজ্যে পরিণত করার পরিকল্পনার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। এ ছাড়া তিনি ন্যাটো মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর দাবি করেন। তার মতে, ন্যাটো সদস্যদের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত।
ন্যাটো পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কোনো সদস্য দেশই বর্তমানে ৫ শতাংশ প্রতিরক্ষা ব্যয় করে না। ট্রাম্পের এই দাবির সমালোচনা করে ন্যাটোর মিত্ররা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
গালফ অব মেক্সিকোর নাম পরিবর্তন করে গালফ অব আমেরিকা করার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ট্রাম্প। মেক্সিকোর অর্থনৈতিক মন্ত্রী মার্সেলো এব্রার্ড অবশ্য এই প্রস্তাবকে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, গালফ অব মেক্সিকো সেই নামেই থাকবে।
এ ছাড়া তিনি আলাস্কার ডেনালি শৃঙ্গের নাম মাউন্ট ম্যাককিনলি করার প্রতিশ্রুতি দেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আমলে এই নাম পরিবর্তন করে ডেনালি রাখা হয়েছিল।
বিশ্বব্যাপী ট্রাম্পের এসব মন্তব্য ও পরিকল্পনা কূটনৈতিক অঙ্গনে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে মার্কিন মিত্ররা তার বক্তব্যে উদ্বিগ্ন। অনেকেই মনে করছেন, তার এই কঠোর অবস্থান বিশ্ব রাজনীতিতে নতুন সংকট তৈরি করবে।