বিদায়ী ভাষণে যা যা বললেন বাইডেন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:৫৫ এএম

জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ শেষ হতে চলছে জো বাইডেনের। আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউস ছাড়বেন তিনি। তার জায়গায় দায়িত্ব গ্রহণ করবেন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বিদায়ের আগে স্থানীয় সময় বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে শেষ বারের মতো ভাষণ দেন বাইডেন। আর সেই ভাষণে অনেক কথার ভিড়ে তিনি মার্কিনিদের সতর্ক করে দিয়েছেন ধনকুবের বা অলিগার্কদের নিয়ে।
তার মতে, যুক্তরাষ্ট্রে গোষ্ঠীশাসন গণতন্ত্রের বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা বিপদের মুখে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এবং এনডিটিভি।
বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অতি ধনী ‘অলিগার্ক’ শ্রেণীরা শিকড় গাড়ছে। তারা দেশটির রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তার করছে। সেই সঙ্গে এসব প্রযুক্তি শিল্প কমপ্লেক্সের মালিকরা আমেরিকানদের অধিকার এবং গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ লঙ্ঘন করছে। আর এই কতিপয় মানুষের হাতে সম্পদ এবং ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার বিষয় নিয়ে মার্কিনিদের সতর্ক করেন বাইডেন।
আরো পড়ুন : গাজায় যুদ্ধবিরতিতে ট্রাম্পের দূত উইটকফের ‘কারিশমা’
বাইডেন বলেন, ‘আজ, আমেরিকায় একটি ব্যাপক সম্পদ, ক্ষমতা এবং প্রভাবের অধিকারী অলিগার্ক আবির্ভূত হচ্ছে। যেটা আক্ষরিক অর্থে আমাদের গোটা গণতন্ত্র, আমাদের মৌলিক অধিকার, আমাদের স্বাধীনতাকে হুমকির মুখে ফেলছে।’
একই ভাষণে এই অতি ধনী মানুষের হাতে ক্ষমতা কতটা বিপজ্জনক এবং তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার যদি না থামানো হয়; তাহলে এর পরিণতি কতটা বিপজ্জনক হবে সে দিকেও জোর দেন বাইডেন।
এ ব্যাপারে অতীতে সামরিক-শিল্প কমপ্লেক্স সম্পর্কে প্রয়াত প্রেসিডেন্ট ডয়াইট আইজেনহাওারের হুঁশিয়ারির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে বাইডেন বলেন, ‘আমি সমানভাবে প্রযুক্তি-শিল্প কমপ্লেক্সের সম্ভাব্য উত্থান সম্পর্কে উদ্বিগ্ন, যেটা আমাদের দেশের জন্য প্রকৃত হুমকি হতে পারে।’
বাইডেন বলেছেন, আমি পরিবেশকে বাঁচিয়ে দেশকে আর্থিক অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা পরিবেশ বাঁচাতে যে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, ক্ষমতাশালীরা তাদের বিপুল ও অনিয়ন্ত্রিত প্রভাব খাটিয়ে তা নষ্ট করতে চায়।
বাইডেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ ভুল তথ্যের নিচে চাপা পড়ে যাচ্ছেন। এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও বিপদের মুখে। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের ধারণা ভেঙে পড়ছে। সামাজিক মাধ্যমে ফ্যাক্ট চেক হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী এই প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তিনি সংবিধানের সংশোধন চান। তিনি চান, কোনো প্রেসিডেন্ট যদি তার কার্যকালে কোনো অপরাধ করেন, তবে তার বিচার হবে।