নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে স্বীকৃতি পেল বাংলা নববর্ষ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪ এএম

অঙ্গরাজ্যটিতে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি ও বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ছবি : সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে ১৪ এপ্রিলকে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আলবেনিতে গভর্নর অফিস বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় এই উৎসবকে উদ্যাপন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অঙ্গরাজ্যটিতে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি ও বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সময় গত বুধবার সিনেটর লুইস সেপুলভেদার উত্থাপিত প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। প্রস্তাবনাটি নিউইয়র্ক সিনেটের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
নিউইয়র্কে মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৩২ স্টেট সিনেট লুইস সেপুলভেদার প্রস্তাবে অঙ্গরাজ্যের আইনসভার অধিবেশনে আইনপ্রণেতারা সর্বসম্মতিক্রমে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। গভর্নর ক্যাথি হোকুল ২৩৪ নম্বর প্রস্তাবের মাধ্যমে তা নিশ্চিত করেন।
আরো পড়ুন : জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিলে ট্রাম্পের আদেশ সাময়িক স্থগিত
ওই ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়, ১৪ এপ্রিল, অর্থাৎ বাংলা বছরের প্রথম মাসের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখকে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। এই অঙ্গরাজ্যের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের স্বীকৃতি হিসেবে এবং এই রাজ্যে বসবাসরত বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি দৃঢ় করার লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হলো।
বাংলা নববর্ষের ইতিহাস বর্ণনা করে এতে আরো বলা হয়, ভারতের মুঘল সাম্রাজ্যে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের সূচনা হয়েছিল। বর্তমানে বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়ার বিভিন্না দেশে, যেমন লাওস, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ডসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে একই সময়ে নববর্ষ উদ্যাপিত হয়ে থাকে।
বাংলা ভাষায় কথা বলেন—এমন অভিবাসীর কথা উল্লেখ করে ঘোষণায় বলা হয়, বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলা থেকে আগত বিপুলসংখ্যক অভিবাসী এ রাজ্যে নানাভাবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন।
বর্তমানে প্রতিবছর প্রায় ১০ হাজার বাংলাদেশি স্থায়ীভাবে বসসবাসের জন্য যুক্ত্ররাষ্ট্রে আসছেন। এদের অর্ধেকই নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা।
পয়লা বৈশাখ বাঙালির জীবনে অতি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে ঘোষণায় বলা হয়, প্রতিবছরই বিপুল সমারোহে দিনটি উদ্যাপিত হয়ে থাকে। ২০২২ সাল থেকে দিবসটি নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারে উদ্যাপিত হয়ে আসছে।