ট্রাম্পের শর্ত মেনে নিল কলম্বিয়া

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৩:২৪ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো। ছবি : সংগৃহীত
ক্ষমতায় এসেই যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠাতে শুরু করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিমানে তুলে তাদের পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন দেশে। এমনই দু'টি মার্কিন বিমানকে কলম্বিয়া অবতরণ করতে দেয়নি। যার জেরে কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেন ট্রাম্প।
এ নিয়ে বিতর্কের মধ্যে কলম্বিয়া জানায়, তারা ট্রাম্পের সব শর্ত মেনে নিতে রাজি। বেইনিভাবে যারা যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকেছে, তাদের সবাইকে ফেরত নেবে কলম্বিয়া। যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বিমানে করে ফেরত পাঠালেও কলম্বিয়া আপত্তি জানাবে না। দেশটির ঘোষণার পরই কলম্বিয়ার ওপর ২৫ শতাংশ হারে জারি করা শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। খবর রয়টার্সের।
আগে যা ঘটেছিল
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রাম্প লিখেছিলেন, কলম্বিয়ার সমস্ত জিনিসের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে তা ৫০ শতাংশ করা হবে। কলম্বিয়ার নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। দেওয়া হবে না ভিসা। পরে পাল্টা ব্যবস্থা দেয় কলম্বিয়াও। ট্রাম্পের এই হুমকির পরেই সমস্ত মার্কিন জিনিসের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে কলম্বিয়ার প্রশাসন।
ট্রাম্প লিখেছেন, ‘কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে আরো ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ তার মতে, কলম্বিয়া বেআইনিভাবে দেশের দুষ্কৃতকারীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়ে দিয়েছিল। তাদের ফিরিয়ে নিতে তারা বাধ্য। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের বিমান নামতে না দিয়ে কলম্বিয়া আন্তর্জাতিক আইন অমান্য করেছে।
আরো পড়ুন : অভিবাসী ফেরত না নেয়ায় কলম্বিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা ট্রাম্পের
প্রথমে যা বলেছিল কলম্বিয়া
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো রবিবার জানিয়েছেন, সব বিষয়ের কিছু নিয়ম এবং প্রোটোকল আছে। শরণার্থীদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যে ব্যবহার করেছে তা অন্যায়। তাদেরকে সামান্য সম্মানটুকুও দেখানো হয়নি।
পেট্রোর বক্তব্য, ‘শরণার্থীরা দুষ্কৃতকারী নন। সহানুভূতির সঙ্গে তাদের সঙ্গে কথা বলা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র সে কাজ করেনি, তা-ই আমি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর বিমান ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছি।’
পেট্রো জানিয়েছেন, কলম্বিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়া শরণার্থীদের তিনি দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রস্তুত। কিন্তু তাদের সেনা বাহিনীর বিমান নয়, বেসামরিক বিমানে পাঠাতে হবে। তাদের সঙ্গে দুষ্কৃতকারীদের মতো ব্যবহার করা যাবে না।
পরে কলম্বিয়া দেশের প্রেসিডেনশিয়াল বিমান যুক্তরাষ্ট্রে পাঠাতে রাজি হয়েছে। তাতে করে শরণার্থীদের ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।
পেট্রো হুমকি দিয়েছিলেন, মার্কিন জিনিসের ওপর ৫০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বসানো হবে। পরে অবশ্য তিনি ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেন।
এরপরেই যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দেয়, কলম্বিয়ার নাগরিকদের আপাতত আর মার্কিন ভিসা দেয়া হবে না। বোগোটায় মার্কিন দূতাবাসকে স্পষ্ট নির্দেশ দেয়া হয়। বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানান যুক্তরাষ্ট্র। কলম্বিয়া শরণার্থীদের ফেরত না নেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকবে বলে জানানো হয়।