১৩ শিক্ষকের স্কুলে পরীক্ষার্থী ১৪, পাশ করেনি কেউই

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ মে ২০২৪, ০৮:২৪ পিএম
চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় ১২ মে। এতে গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। গতছরের তুলনায় এবার পাসের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
ফলাফল প্রকাশের পর যখন বাধ ভাঙা আনন্দে উচ্ছ্বাসিত শিক্ষার্থীরা সেখানে কিছু ব্যতিক্রমী ঘটনাও আছে। যা অবাক করে দিয়েছে সবাইকে।
অবাক করাই কথা। কারণ ১৩ জন শিক্ষকের বিদ্যালয়টি থেকে ১৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে এসএসসিতে। যাদের কেউই পাশ করতে পারেনি।
এমনই এক স্কুলের দেখা মিলেছে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। স্কুলটির নাম ঘগোয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠার ১০ বছর পর ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে প্রধান শিক্ষকসহ ১৩ জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী রয়েছেন। গত বছর এই বিদ্যালয় থেকে ১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৩ জন পাশ করেছিল। কিন্তু এবার শতভাগ অকৃতকার্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়টি প্রতিদিন খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার প্রতি তেমন একটা আগ্রহ নেই। এছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীরা গল্প-গুজব করে সময় কাটিয়ে বাড়িতে চলে যান। এমনকি বিদ্যালয়ের গণিত বিষয়ের শিক্ষক নিয়মিত বিদ্যালয় না আসারও অভিযোগ স্থানীয়দের।
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ১৪ জন পরীক্ষার্থীর কেউ পাস করেনি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। যে যে বিষয়ে শিক্ষার্থীরা ফেল করেছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
১৩ জন শিক্ষকের এ বিদ্যালয়টি থেকে ১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কেউই পাশ করতে না পারায় পুরো জেলায় বইছে সমালোচনার ঝড়।