শেখ হাসিনা কি বলছে আমাদের জায়গা দখল করে মসজিদ বানাতে?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৪, ০৮:২৮ পিএম
এভাবেই স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে বার বার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ করতে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসহ সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে স্থানীয়রা।
২০১৭ সালে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রতিটি জেলা-উপজেলা ও পৌরসভায় একটি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। প্রকল্পের অধীনে ইতোমধ্যে নির্মাণও করা হয়েছে প্রায় অর্ধেকেরও বেশি মসজিদ। তবে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় বার বার থেমে যাচ্ছে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ।
সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব বাইপাস সড়কের উত্তর পাশে পুরনো মসজিদে দানকৃত সাড়ে পাঁচ শতাংশ জমির সাথে আরও ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে তাতে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ নিয়ে ২০১৯ সালের ১১ জুন টেন্ডারও আহ্বান করে গাইবান্ধা গণপূর্ত অধিদপ্তর। জমি অধিগ্রহণসহ মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১২ কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ৩৯০ টাকা। নির্ধারিত সময়ে কাজও শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এস এস এল কনভার যেভি। খোঁড়াখুঁড়ির পর কয়েকটি পিলারের ছকও দেয় তারা। এরপরই বাঁধার মুখে বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণ কাজ।
স্থানীয়দের দাবী এই জায়গার মালিক তারাই। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশন বলছে সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মডেল মসজিদের জন্য কেনা হয়েছে এই জায়গা। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৪৮ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের নামে খারিজ করা হয়। তাই জমির মালিক ইসলামিক ফাউন্ডেশন।