হুতিদের ফাঁদে ধরাশায়ী যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫০ কোটি টাকার ড্রোন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৪, ০৪:৪৭ পিএম
হুতিদের তৈরি মিসাইলের পরিসর, লক্ষ্যভেদী নিশানা ও মারণঘাতী সামর্থ্য সম্পর্কে ধারণা পেতে বহু আগে কাজ করছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। কিন্তু কতটুকু সফল হলেছেন সেই প্রশ্ন বিশ্বজুড়ে। এবার ইয়েমেনের মারিব প্রদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫১ কোটি টাকার ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে দেশটির সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতি।
গত ১৬ মে রাতে তাদের যোদ্ধারা ড্রোনটি ভূপাতিত করেছে। ড্রোনটি ভূপাতিত করতে সারফেস টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এই হামলার একটি ভিডিও প্রকাশ করা হবে জানিয়েছেন হুতিদের সামরিক শাখার মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারে।
গত ১৭ মে ইরানের সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভি জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ড্রোনটির মডেল এমকিউ-৯। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ডলার। বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৩৫১ কোটি টাকারও বেশি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার কয়েক ঘণ্টা পর হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী জানিয়েছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা ড্রোন এমকিউ-৯। তারাই এ ড্রোনটি ভূপাতিত করেছে।
তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভিডিওটিতে এমকিউ-৯ ড্রোনের যন্ত্রাংশের সাদৃশ্যতা পাওয়া গেছে। এর আগেও মার্কিন এ ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছিল হুতি বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
২০১৪ সালে ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ উত্তরাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা। তখন থেকে এখন পর্যন্ত বিদ্রোহীদের হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত পাঁচটি ড্রোন ধ্বংস হয়েছে।
হুতিদের পৃষ্ঠপোষকতায় আছে ইরান। ২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ তীব্র হওয়ায় এবং সৌদি আরবের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান দ্বন্দ্বের জেরে হুতিদের সহায়তা বাড়িয়ে দেয় ইরান। সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ২০২১ সালের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, অস্ত্রশস্ত্র ও কারিগরি সুবিধা দিয়ে হুতিদের সহায়তা করে ইরান।
ইয়েমেনে এক দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের একটি পক্ষ হুতি, যারা আনসারুল্লাহ নামেও পরিচিত। ১৯৯০ এর দশকে তাদের উত্থান। তাদের নেতা হুসেইন আল-হুতি শিয়া ইসলামের জাইদি ধারার অনুসরণে ধর্মীয় পুনর্জাগরণমূলক আন্দোলন শুরু করেন।