বেনজীরের ৬২১ বিঘা জমি ও ৩৩ ব্যাংক হিসাব জব্দ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ মে ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক স্বজনের নামে থাকা ৬২১ বিঘা জমি ক্রোক বা জব্দের আদেশ দেন। একই দিন বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে থাকা ৩৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়।
দুদক পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা জমি যাতে হস্তান্তর না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার সাব-রেজিস্ট্রার বরাবর আদালতের জব্দের আদেশ পাঠানো হয়েছে। ব্যাংক হিসাবের অর্থ যাতে হস্তান্তর বা রূপান্তর না হয়, সে জন্য আদালতের আদেশ পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককেও।
তার স্ত্রী, তিন মেয়ে ও এক স্বজনের নামে থাকা ৩৪৫ বিঘা জমি ক্রোক বা জব্দের আদেশ দেন। একই দিন বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকে থাকা ৩৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়।
আদালত বেনজীর আহমেদের স্ত্রী জীশান মীর্জার নামে থাকা মাদারীপুরে ২৭৬ বিঘা জমি এবং বেনজীর পরিবারের নামে থাকা গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন। একই দিন বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের নামে থাকা ১৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও তিনটি বিও হিসাব এবং ৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়।
সাভারে তাদের কিছু জমিও পড়েছে একই আদেশের মধ্যে। জব্দ মানে হলো যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থায় থাকবে। ফ্ল্যাটে যদি কেউ বসবাস করেন, সেটা করতে পারবেন। তবে বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না বলে জানান দুদকের পিপি মীর আহমেদ আলী সালাম।
পরিবারের সদস্যদের নামে রাজধানীর গুলশানে একদিনেই চারটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন পুলিশের সাবেক আইজিপি। বছরখানেক আগে ২০২৩ সালের ৫ মার্চ রাজধানীর অন্যতম দামি ও অভিজাত এলাকায় কেনা ফ্ল্যাটগুলোর দাম দেখানো হয় মাত্র দুই কোটি ১৯ লাখ টাকা।
তবে এবার সেই চারটি ফ্ল্যাটসহ তার ১১৯টি দলিল জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। জব্দের তালিকায় আছে সঞ্চয়পত্র, শেয়ারবাজারে তিনটি বিও অ্যাকাউন্ট ও ১৯ প্রতিষ্ঠানের মালিকানা। চাকরির সময় পুলিশে শীর্ষ পদগুলোতে দায়িত্ব পালন করেন বেনজীর।
আদালতে রিটের পরপরই দুদক থেকে জানানো হয়, বেনজীর আহমেদের সম্পদের বিষয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করা হয়েছে। গণমাধ্যমে নিজের সম্পদ নিয়ে যেসব প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, সেগুলোকে অসত্য বলে দাবি করেছেন র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর।