এলাকায় ভাইরাল ৩২ মণ ওজনের সর্দার

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৭ জুন ২০২৪, ০৫:২৭ পিএম
২০১৮ সালে ২টি গাভী দিয়ে খামার শুরু করেন মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের মিছবা উদ্দিন। এরপর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি।
ব্যবসায় সফলতার মুখ দেখায় বর্তমানে তার খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ২৮টি গরু রয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারের ঈদেও প্রস্তুত করেছেন বিশাল আকৃতির একটি গরু। আদর করে নাম দিয়েছেন সর্দার। ৩২ মন ওজনের সর্দার এবারের কোরবানির হাট কাঁপাতে প্রস্তুত বলে জানান মিছবাহ।
সর্দারকে সন্তানের মতোই লালন পালন করেছেন মিছবাহ। গরুটিকে খাবার হিসেবে প্রতিদিন ডাল, ভূসি ও কাঁচা ঘাস খাওয়ান তিনি। খাবারের পাশাপাশি দুইবেলা গোসলও করানো হয় তাকে।
সুঠাম দেহ ও সৌন্দর্যে সবার নজর কাড়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকেই আসছেন সর্দারকে দেখতে। সর্দারের দাম হাঁকা হচ্ছে ৭ লাখ টাকা।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবছরই দেশের খামারগুলোতে প্রস্তুত করা হয় নানান জাতের গরু। তবে শুধু বাণিজ্যিক খামারই নয়, দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছোট পরিসরে পারিবারিক খামারেও কোরবানিকে কেন্দ্র করে প্রস্তুত করা হয় এসব গরু। হলিস্টিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটিকে অনেকটা শখ করেই বড় করেছেন মিছবা উদ্দিন। এ জন্য ব্রিটেনে ব্যারিস্টারি অধ্যায়নরত ছোট ভাই রাজু মিছবাকে গরু পালনে বিভিন্ন পরামর্শ ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন।
বড়লেখা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কোরবানির ঈদে ১৫ হাজার গবাদিপশু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে সবার নজর কেড়েছে মিছবা উদ্দিনের গরু সর্দার।
এবারের ঈদে খামারিরা তাদের ন্যায্য মূল্য পাবে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।