এতিমখানার শিশুদের ঈদ আছে, কিন্তু আনন্দ নেই

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২৪, ০৭:২৩ পিএম
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি। সে আনন্দের মাত্রা বেড়ে যায় মা-বাবা ও স্বজনদের সান্নিধ্য পেলে। পৃথিবীতে মা-বাবাই প্রত্যেকটি সন্তানের সবচেয়ে বেশি আপনজন। কিন্তু সেই আপনজনই যদি না থাকে, সে জীবনে কিভাবে অনুভূত হবে ঈদের অথৈ আনন্দ। এমন আক্ষেপ হাজারো এতিম শিশুর।
যারা বেঁচে থাকে, বেড়ে উঠে অনাদরে। এমন অজস্র এতিমখানা রয়েছে দেশজুড়ে। রাজধানীর শ্যামলী এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজে সবার মতো এতিমখানার শিশুরাও মেতেছে ঈদ উৎসবে। তবে তাদের উৎসব ভালো খাওয়া-দাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কেউ কেউ পেয়েছে নতুন জামা, আবার অনেকে পায়নি।
মা-বাবা ছাড়া ঈদ, কেমন যাচ্ছে জানতে চাইলে সানজিদা ম্লান মুখে জানায়, মা নেই, বাবা আছে। বাবাকে মাঝে মাঝে খুব মনে পড়ে। কিন্তু বাবা আবারও বিয়ে করেছে।
সানজিদার মতো বাবা-মা ছাড়া ঈদ করে চিলড্রেনস ভিলেজে থাকা ১১০ জন শিশু। এদের কারো মা নেই, কারো বাবা নেই। এদের মধ্যে কারো অভিভাবকরা এসে নিয়ে গেলেও অনেকের ভাগ্যে জুটে না বাড়ি গিয়ে ঈদ করার।
চিলড্রেনস ভিলেজের চারদেয়ালেই থাকে ৮ বছর বয়সী সিহাব। তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জে। মাত্র ৬ মাস বয়সে মা মারা যান। তার কয়েক মাস পর বাবাও চলে যান পরপারে। এরপর রাজধানীর শ্যামলীর চিলড্রেনস ভিলেজে সরকারি শিশু পরিবারে সিহাবকে ভর্তি করান স্বজনরা।
রাজধানীর শ্যামলী এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, এখানেই ঈদ উদযাপন করবে ১১০ জন শিশু। যারা প্রতিটি ঈদে পরিবার মতোই আনন্দ উদযাপন করে।
ঈদের দিন তিনবেলা পেট পুরে ভালোমন্দ খেতে পাওয়াই তাদের একমাত্র আনন্দ। এমন দৃশ্য রাজধানীসহ সারা দেশের এতিমখানার শিশুদের। এভাবেই কাটে তাদের ঈদ। কেটেই তো যাচ্ছে বছরের পর বছর। কেউই কি নেই এসব এতিমদের চাঁপা আর্তনাদ শোনার?