কানাডায় বিলাসবহুল প্রাসাদ, ব্যয়বহুল গাড়ি! কী নেই মতিউরকন্যার?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
কানাডার প্রভিন্স অন্টারিও থেকে ৯০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত ব্যারি সিটি। ব্যয়বহুল এই শহরে কেবল অঢেল সম্পদের মালিকেরাই বাড়ি কেনার সামর্থ্য রাখেন। আর এই শৌখিন শহরেই প্রাসাদ গড়েছেন বাংলাদেশের আলোচিত এনবিআর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের কন্যা ফারজানা রহমান ইপসিতার। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বাড়িটি কেনেন তিনি। এজন্য তাকে খরচ করতে হয়েছে ৮ লাখ ৮৮ হাজার কানাডিয়ান ডলার। এ ছাড়া রেজিস্ট্রেশন এবং জমি ট্রান্সফার ফি বাবদ আরও গুনতে হয়েছে প্রায় সাড়ে ১০ হাজার কানাডিয়ান ডলার। সব মিলিয়ে বাড়িটির মালিক হতে বাংলাদেশি টাকায় ৯ কোটি টাকারও বেশি খরচ করতে হয়েছে তার।
কয়েকদিন ধরে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনায় রয়েছেন এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মতিউর রহমান। সম্প্রতি তার ছেলে মুসফিকুর রহমান ইফাত কোরবানির জন্য ১৫ লাখ টাকায় একটি ছাগল কিনে ব্যাপক আলোচনায় আসেন। এছাড়াও তিনি বিপুল টাকায় কিনেছিলেন কয়েকটি গরু। এ ঘটনা ভাইরাল হলে মুসফিকুর রহমান ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান। তবে পরবর্তী সময়ে প্রমাণিত হয় যে আলোচিত ইফাত সত্যিই মতিউর রহমানের ছেলে। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটতে গিয়ে বের হতে থাকে মতিউরের অবৈধ সম্পদের গোপন ভান্ডারের তথ্য। প্রকাশ্যে আসে তার বাড়ি-গাড়ি, রিসোর্ট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ শত শত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য।
কানাডা থেকে মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের কেনা দামি গাড়িগুলোর ছবি পোস্ট করেন মতিউরকন্যা। তার বিষয়ে ঘাটতে গিয়ে জানা গেল কানাডায় বিপুল টাকায় কেনা এই বাড়ির সম্পর্কে। কানাডার জমি রেজিস্ট্রেশন কর্তৃপক্ষের নথি অনুসারে চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি অন্টারিওর ব্যারি শহরে এই বাড়িটি কেনেন ফারজানা রহমান ইপসিতা। শহরের মোনার্কি স্ট্রিটের ১১৭ নম্বর বাড়িটি তার। তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ব্যারি শহরের এই বাড়িতে তিনি থাকেন না। তিনি মূলত অন্টারিও শহরের একটি বাড়ি থাকেন। সেটিও তার নিজের কেনা বাড়ি।
সূত্র জানিয়েছে, ট্রিপ্লেক্স এই বাড়িটি অত্যাধুনিক সব আসবাবপত্র দিয়ে সজ্জিত। বাড়ির সামনে দীর্ঘ লন। এ ছাড়া একটি সুইমিংপুলও রয়েছে। রয়েছে আলাদা পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। প্রধান সড়ক ঘেঁষে গড়ে তোলা ফুল ফার্নিশড এ বাড়িটি যেন রাজপ্রাসাদ। জানা যায়, ইপসিতা কানাডায় থাকলেও বাংলাদেশে তার নামে রয়ে