গ্যাস বাবুর পুকুরে ফেলে দেয়া তিনটি ফোনে কী আছে?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার তদন্তে নতুন মোড়। এবার পুলিশ খুঁজছে পুকুরে ফেলা তিনটি মোবাইল ফোন। যেগুলো পেলে আনার হত্যাকাণ্ডের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এ ঘটনার আলামত উদ্ধারে ঝিনাইদহ যাচ্ছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ হত্যার অন্যতম আসামী আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ বাবু ওরফে গ্যাস বাবু তিনটি মোবাইল ফোন ঝিনাইদহ শহরের দুটি পুকুরে ফেলে দেন। ফোনগুলো খুনের আলামত হিসাবে উদ্ধারে দু-একদিনের মধ্যেই ঝিনাইদহ যাচ্ছে ডিবি পুলিশের তদন্ত টিম।
এসব ফোনে আনার খুনের বিষয়ে গ্যাস বাবু শিমুল ইউসুফ ভুঁইয়ার সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করতেন। পুকুর থেকে উদ্ধার অভিযানে একজন ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থাকবেন। সঙ্গে থাকবে গ্যাস বাবুও। তকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবু আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
জবানবন্দিতে মোবাইলগুলো কোথায় কোথায় ফেলেছেন সেগুলো তিনি বলেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আদালতের কাছে আবেদন করা হয় বাবুকে সঙ্গে নিয়ে আলামত উদ্ধারের চেষ্টা করা হবে। গ্যাস বাবু আদালতে বলেছেন, ‘সে একজন নেতার নির্দেশে আশপাশের কোনো এক নালা বা পুকুরে ফেলে দিয়েছেন মোবাইল। কোন নালা বা পুকুরে ফেলেছেন তিনি আদালতে জানিয়েছেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, গ্যাস বাবুকে সঙ্গে নিয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটসহ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে আলামত উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালানো হবে। পানির মধ্য থেকে আলামত উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও জেলেদের কাজে লাগানো হবে।
আলামতগুলো কেউ সরিয়ে ফেলতে না পারে সেজন্য আপনারা কোনো ব্যবস্থা নিয়েছেন কি না জানতে চাইলে হারুন বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। অবশ্যই সেটা নজরদারিতে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, যখন কাজী কামাল আহমেদ ওরফে গ্যাস বাবু গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি তখন বলেছিলেন, মোবাইলগুলো হারিয়ে গেছে এজন্য তিনি জিডি করেছেন। কিন্তু আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তিনি জানিয়েছেন, ‘একজন নেতার নির্দেশে পুকুরে ফেলে দিয়েছেন। এই মোবাইলগুলো দিয়েই আনার হত্যার মূল ঘাতক আমানুল্যা ওরফে শিমুল ভূঁইয়া গ্যাস বাবুর সঙ্গে অসংখ্যবার কথা বলেছেন।’
এছাড়া অসংখ্য মেসেজ তারা আদান-প্রদান করেছেন। মোবাইলগুলোতে ডিজিটাল তথ্য-উপাত্ত আছে বলে মনে করছি। না হলে গ্যাস বাবু মোবাইলগুলো পানিতে ফেলে দেবেন কেন? মোবাইলগুলো পেলে মামলার তদন্তে অনেক সহয়তা হবে। সেজন্য মোবাইল উদ্ধার করা অনেক জরুরি।