বেনজীরের থাবা থেকে রেহাই পেলেন না সাদিক এগ্রোও

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১১:২০ এএম
দেশের খামারিদের স্বার্থ সুরক্ষায় সরকার পশু আমদানি নিরুৎসাহিত করছে। এই উদ্যোগকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, আইনের তোয়াক্কা করছেন না সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারীর ইমরান হোসেন। দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু আনছেন ইমরান। আর এই কাজ করতেন একটি মাফিয়া সিন্ডিকেটের মাধ্যমে।
ইমরানের ওই সিন্ডিকেটে সদস্য হিসেবে রয়েছেন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। জানা গেছে, সাদিক অ্যাগ্রোতে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বড় অঙ্কের বিনিয়োগ রয়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ভারত, থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কিছু দেশ থেকে ইমরান বিভিন্ন জাতের গরু দেশে এনে চড়া দামে বিক্রি করছিলেন। আর এসব গরু আনতে সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নেননি তিনি। এছাড়া যেসব জাতের গরু দেশে আমদানি নিষিদ্ধ সেসব গরুও তিনি দেশে নিয়ে এসেছেন।
২০০৮ সালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধসংলগ্ন ভাঙা মসজিদের গলিতে ২০ লাখ টাকা পুঁজি দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন ইমরান। বর্তমানে তিনি হাজার কোটি টাকার মালিক। জানা গেছে, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে গরু পাচার কারবারে সাদিক অ্যাগ্রোর স্বত্বাধিকারী ইমরানের সঙ্গে জড়িত প্রভাবশালী বেশ কিছু ব্যক্তি।
সম্প্রতি ইমরান মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে ১২টি গরুর একটি চালান দেশে নিয়ে আসেন। গরুগুলো থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার থেকে সংগ্রহের পর উখিয়া হয়ে নরসিংদীর শেখ ক্যাটল ফার্মে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গরুগুলো ট্রাকে করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাদিক অ্যাগ্রোতে নিয়ে আসা হয়।
এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেন তারই ঘনিষ্ঠ শেখ জাফর ছোটন ও নজিবুল্লাহ। একদিকে অবৈধ পথে চোরাকারবারির মাধ্যমে দেশে পশু আনছেন ইমরান, অন্যদিকে সংবাদ সম্মেলন করে অবৈধ পথে পশু আমদানি না করতে নিষেধ করছেন। কোরবানির ঈদের আগে তিনি এমন প্রতারণার আশ্রয় নেন।
সম্প্রতি চোরাই পথে সীমান্ত দিয়ে রাজস্থান থেকে আটটি গরু আনেন ইমরান। এসব গরুর প্রতিটি ১২ থেকে ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। অবৈধভাবে বিদেশ থেকে আনা এসব গরু চড়া দামে বিক্রি করছেন ইমরান। প্রতিষ্ঠানটির সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার মহিদুল ইসলাম জানান, সৌন্দর্য এবং বাহ্যিক গঠনের কারণে এসব গরু চড়া দামে বিক্রি করা হয়েছে।
গত ২৭ জুন সাদিক অ্যাগ্রোর উচ্ছেদ