খাদ্য গুদামে কৃষকের পরিবর্তে ধান দিচ্ছে দালালরা, হাতে নাতে ধরা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম
সড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে রাখা হয়েছে বেশ কিছু ট্রলি। সেগুলোতে রয়েছে বস্তায় বস্তায় ধান। পর্যায়ক্রমে খাদ্য গুদামে ঢুকানো হচ্ছিল ধান। কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়নি এসব ট্রলির ধানের মালিকদের।
দালাল-ফরিয়াদের একটি সিন্ডিকেট গুদাম কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে ধান ঢুকচ্ছেন গুদামে এমন অভিযোগ উঠেছে গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। কৃষক নয় এমন ব্যক্তির নামেও ধান ঢুকছে গুদামে। এতে করে প্রকৃত কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
বামনডাঙ্গা খাদ্য গুদামে এবার ৩শ জন কৃষকের কাছ থেকে ৩২ টাকা কেজিতে ৯শ মেট্রিকটন বোরো ধান কেনার কথা। কিন্তু প্রকৃত কৃষকের পরিবর্তে এবং দালাল ও ফরিয়াদের সাথে যোগসাজস করে বামনডাঙ্গা খাদ্য গুদামে ধান কিনছেন গুদাম কর্মকর্তা।
সাংবাদিকের উপস্থিতি টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে গুদাম কর্মকর্তা গোডাউনের ভিতরে প্রবেশ করে ধান ঢোকাতে থাকেন। দালালদের মাধ্যমে ভুয়া কৃষকের নামে গুদামে ধান ঢুকছে কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে গুদাম কর্মকর্তা দায় চাপিয়ে দেন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের উপর।
পরে গুদামের পাশেই পাওয়া গেল একজন উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তাকে। তার কাছে জানতে চাওয়া হয় ভুয়া কৃষকদের থেকে ধান কেনা হচ্ছে কেন? জবাবে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলতে বলে সটকে পড়েন।
বিষয়টি জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলকে জানানো হলে, তিনি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে বামনডাঙ্গা খাদ্য গুদামে পাঠান। ভুয়া কৃষকের নাম ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে গুদামে ধান ঢুকানোর বিষয়টি তিনি হাতে নাতে ধরে ফেলেন।
সরকারি নির্দেশনা মেনে যদি ধান ক্রয় না করা হয়, তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক। জেলার অন্যান্য খাদ্য গুদামে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।