বাবরের জন্য সুসংবাদ, মুক্তি মিলছে কবে?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। বিএনপির আমলে ভারতের জন্য মাথাব্যথার কারণ ছিলেন। সেভেন সিস্টার্সকে উসকে দিয়ে ভারতকে ব্যস্ত রাখতে বাবরের নাম ছিল সবার আগে। শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর আবারো আলোচনায় আসেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। বিএনপির অনেক নেতাদের মুক্তি মিললেও, এখনো মুক্তি পাননি বাবর। তবে তার জন্য রয়েছে সুসংবাদ।
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলাসহ সিলেটে চার মামলায় জামিন পেয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বাবর। সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক স্বপন কুমার সরকার শুনানি শেষে তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
বাবরের আইনজীবী শহীদুজ্জামান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, লুৎফুজ্জামান বাবরের বিরুদ্ধে সিলেটে চারটি মামলা ছিল। শুনানির পর ওই চারটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি মামলা আছে। যার মধ্যে কয়েকটিতে সাজাও হয়েছে।
তিনি বর্তমানে কাশিমপুর কারাগারে আছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যা মামলা, সাবেক রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত হত্যাচেষ্টা মামলা এবং বিস্ফোরক আইনে করা দুটি মামলাসহ চারটি মামলায় লুৎফুজ্জামান বাবর জামিন পেয়েছেন।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের ঈদ–পরবর্তী জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলায় মারা যান শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ঘটনার পরদিন জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খান বাদী হয়ে হত্যা মামলা ও পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করে।
২০০৭ সালে মামলাটি পুনঃ তদন্তের জন্য আবার সিআইডিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর মামলার পঞ্চম তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট অঞ্চলের তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মেহেরুন্নেসা পারুল আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে নতুন করে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব প্রয়াত হারিছ চৌধুরী, সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৩৫ জনকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে দুজন মামলা চলাকালে মারা গেছেন।
২০০৪ সালের ২১ জুন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের নির্বাচনী এলাকা সুনামগঞ্জের দিরাই বাজারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। সমাবেশে তখন প্রধান অতিথির বক্তব্য দিচ্ছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। তিনি অল্পের জন্য রক্ষা পান। গ্রেনেড বিস্ফোরণে এক যুবলীগের কর্মী ঘটনাস্থলে নিহত হন।