×

ভিডিও

ধরা ছোঁয়ার বাইরে বিদ্যুত খাতের মাফিয়া আজিজ খান

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:২০ পিএম

   

জন্ম বাংলাদেশে হলেও সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা তিনি। এক যুগের বেশি সময় ধরে সিঙ্গাপুরে থাকছেন। তবে, বাংলাদেশে রয়েছে তার বিস্তৃত ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড। বিদ্যুৎ, বন্দর, ফাইবার অপটিকস ও আবাসন খাতের ব্যবসাসহ কি নাই তার। তার সম্পদের পরিমাণ ১২ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তিনি বিদ্যুৎ খাতের মাফিয়া নামে পরিচিত। বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে ‘কুইক রেন্টাল’ নামে পরিচিত বহুল বিতর্কিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী তিনি ও তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী সামিট গ্রুপের তিনি চেয়ারম্যান। আজিজ খান; যিনি সিঙ্গাপুরের ৪১তম শীর্ষ ধনী। ৫০ বছরের ব্যবসায়ী জীবনে আজিজ খান হটাৎ আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন গত এক দশকে। ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিস্তর অভিযোগ বিশাল এ শিল্পগ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে।

বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, হাসিনা সরকারের আমলে যেসব খাতে সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে তার মধ্যে বিদ্যুৎ খাত অন্যতম। এর নেতৃত্বে ছিল সামিট গ্রুপ। কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ছাড়া রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়া, বিশেষ আইনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচারসহ নানা অভিযোগ এই সামিট গ্রুপের বিরুদ্ধে। 

তার ভাই মোহাম্মদ ফারুক খান বিগত সরকারের বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী ছিলেন। আর এই সুযোগকে তিনি পুরোপুরি অর্থপাচারের কাজে ব্যবহার করেছেন। দেশের একমাত্র এলএনজি টার্মিনালের মালিক যেহেতু সামিট, তাই গ্যাসের দেশীয় উৎপাদন না বাড়িয়ে এলএনজি আমদানি বাড়ানোর জন্যও এই প্রতিষ্ঠানটির দায় রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিশেষ আইন-২০১০ পাস করা হয়। এতে যেসব সুবিধা রাখা হয় তার পুরোটাই ভোগ করেছে সামিট পাওয়ার। কুইক রেন্টাল চালুসহ বিদ্যুৎ উৎপাদন না করে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া যার মধ্যে অন্যতম। 

সিঙ্গাপুরে শীর্ষ ধনীদের তালিকায় ২০১৮ সালেই নাম লিখিয়েছেন সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজ খান। কয়েক বছর ধরেই সে দেশে তার সম্পদের পরিমাণ বাড়ছে। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের গত বছরের প্রকাশিত রিপোর্টে আজিজ খান স্বীকৃতি পেয়েছেন সিঙ্গাপুরের ৪১তম ধনী ব্যক্তির। ফোর্বসের হিসাব অনুযায়ী, মুহাম্মদ আজিজ খানের মোট সম্পদ রয়েছে ১১২ কোটি ডলারের। 

২০১৮ সালে তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ৯১ কোটি ডলারের। তবে ২০২০ সালে সম্পদ বেড়ে ৯৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার হয়। দেখা যাচ্ছে, চার বছর ধরেই ফোর্বসের হিসাবে তার সম্পদ বাড়ছে। ২০১৮ সালে প্রথমবারের মতো আজিজ খান সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ৫০ ধনীর তালিকায় স্থান পেয়েছিলেন। সে বছর তিনি ছিলেন ৩৪ নম্বরে। 

তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ১০ বছরে চাহিদার তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি করে হাসিনা সরকার। যার মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশই বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্র। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মোটা অঙ্কের ঋণের ব্যবস্থাও করে সাবেক সরকার। এমন সব জনবিরোধী আইন করে সামিটসহ সাবেক সরকারের অধীনস্ত কর্তা-ব্যক্তিদের বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোকে দেয়া হয় বিশেষ সুবিধা।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App