×

ভিডিও

টাকার বিছানায় ঘুমান দুর্নীতির প্রাণপুরুষ সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম

   

একসময় আদর্শগত দিক থেকে পরিচ্ছন্ন ছিলেন সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক। তবে হুইপ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে দাগ লাগতে শুরু করে তার আদর্শে। ২০১৪ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর থেকেই নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে যান এই নেতা। গড়ে তোলেন অবৈধ সম্পদের সাম্রাজ্য। দুর্নীতি করে শুধু নিজেই সম্পদশালী হননি বরং অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে দিয়েছেন তার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের। অর্থাৎ তার অবৈধ ধনে পোদ্দারি করতো শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। 

সম্প্রতি সাবেক এই রেলমন্ত্রীর ঘরের বিছানায় পড়ে থাকা বেশ কিছু টাকার বান্ডিলের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এরপর থেকেই ধারাবাহিতভাবে প্রকাশ হচ্ছে সাবেক এই মন্ত্রীর একেকটি দুর্নীতির কালো রহস্য। তবে ওই ছবিটি কে বা কারা ভাইরাল করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। 

ছবিটিতে দেখা গেছে, মুজিবুল হকের তিন সন্তান বিছানায় বসে আছে। তাদের সামনে বিছানায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা হয়েছে ৫০০ ও ১০০০ টাকা নোটের বেশ কয়েকটি বান্ডিল। ছবিতে আরো দেখা গেছে, এক সন্তানকে মুজিবুল তার কোলে নিচ্ছেন, আরেকটি শিশু একটি শপিং ব্যাগে থাকা সেই টাকার বান্ডিলগুলো নিয়ে খেলা করছে। আর দাঁড়িয়ে থেকে এই দৃশ্য দেখছেন মুজিবুল হকের স্ত্রী হনুফা আক্তার। ধারণা করা হচ্ছে- মুজিবুল হকের কোনো এক সন্তানের জন্মদিনে এই ছবি তোলা হয়েছিল। 

গেল ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তোপে শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সাবেক এই সংসদ সদস্য ও রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী হলফনামায় নগদ ২০ হাজার টাকাসহ স্থায়ী-অস্থায়ী সম্পদের পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকার হিসেব দেখালেও এখন তার শত শত কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। রেলমন্ত্রী হওয়ার পরই তিনি অবৈধ পন্থায় এসব সম্পদ গড়ে তুলেছেন। 

অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ বাণিজ্য, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কমিশন বাণিজ্য, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলিসহ বিদেশে ব্যবসা, নেতাকর্মীদের কাছ থেকে ব্যবসার মুনাফা, টেন্ডারের কমিশন, চাঁদাবাজির ভাগসহ নানা উপায়ে শত শত কোটি টাকা অর্জন করেছেন মুজিবুল হক। এগুলো দেখভাল করতেন তার স্ত্রী হনুফা বেগম।

সূত্রে জানা গেছে, মুজিবুল হকের শাশুড়ির নামেও কিনে দিয়েছেন ফ্ল্যাট- বাড়ি। তার তিন শ্যালিকা আগে সাধারণ জীবনযাপন করলেও এখন আলিশান বাসায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন তারা। শ্বশুরের পরিবারের সকলের বিলাসবহুল জীবন যাপনের জন্য অর্থের একমাত্র জোগানদাতা ছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী। আর এসব কাজে প্ররোচনা জুগিয়েছে তার স্ত্রী, ভাগ্নে এবং শ্যালক নাসির।

২০১৪ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারের রেলপথমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মুজিবুল হক। দীর্ঘ অবিবাহিত জীবনের ইতি টেনে ২০১৪ সালের ৩১ অক্টোবর ৬৭ বছর বয়সে হনুফা আক্তার রিক্তাকে বিয়ে করেন সাবেক এই মন্ত্রী। একসময় ভাতের প্লেট কেনার সামর্থ্য ছিল না এই নেতার। হুইপ নির্বাচিত হওয়া পর্যন্ত আদর্শগত দিক থেকে বেশ পরিচ্ছন্ন ছিলেন তিনি। তবে শেষ বয়সে হনুফা আক্তারকে বিয়ে করার পর থেকে ধীরে ধীরে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন মুজিবুল হক। আর তার সব দুর্নীতির ক্যাশিয়ার ছিলেন স্ত্রী হনুফা বেগম।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App