×

ভিডিও

দেশে বিদেশে মালা খানের সম্পদ ও জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৫ পিএম

   

অফিসে গোপন কক্ষ বা আয়নাঘর বানানো নিয়ে সম্প্রতি সারাদেশে ভাইরাল হয়েছেন বিআরআইসিএম এর সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক ও প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মালা খান। তার পৈতৃক নিবাস টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরের অলোয়া ইউনিয়নের নিকলা মহাব্বত গ্রামে। পিতা আবুল ফজল খানের চাকরির সুবাদে ঢাকায় পড়ালেখা করেন মালা খান। চাচা গরুর ব্যবসায়ী তোফাজ্জল খানের মাধ্যমে নিজ গ্রামে জমি কেনা এবং গবাদি পশুও বেচাকেনা করতেন মালা। এমনকি এলাকায় বেশ কয়েকজনকে সরকারি-বেসরকারি চাকরিও জুটিয়ে দিয়েছেন তিনি। নিকলা মহাব্বত গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য।

চাকরির পাশাপাশি ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রজাতির গরু ও ছাগলের খামার রয়েছে মালা খানের। খামারটি পরিচালনা করতো তার ছোট ভাই। এছাড়া বসিলাতেই তার কেনা জমি এবং বাসা রয়েছে। টাঙ্গাইলের বিভিন্ন জায়গা থেকে চাচার মাধ্যমে গরু ও ছাগল কিনে মোটাতাজা করা হতো বসিলার খামারে। এরপর সেগুলো বসিলার খামারের পাশাপাশি টাঙ্গাইলে নিয়েও বিক্রি করা হতো। গেল ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বসিলার ওই খামার থেকে অনেকেই গরু-ছাগল নিয়ে গেছেন। তার মৃত ভাই মন্তাজ খানেরও কেরানীগঞ্জে গরুর খামার ছিল। চাচার মাধ্যমে এলাকায় ৫৯ শতাংশ জমি কিনেছেন মালা খান। এছাড়া নিজ এলাকার বেশ কয়েকজনকে চাকরি দিয়েছেন বিআরআইসিএমতে। তারা এখনও সেখানে বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন। 

মালা খানের তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে কানাডায় পড়াশুনা করছেন। তার স্বামী মোস্তফা আনোয়ার একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। বর্তমানে তিনি দুই মেয়ের সঙ্গে কানাডাতেই বসবাস করছেন। তবে শোনা যাচ্ছে- স্বামী ও মেয়েদের জন্য কানাডায় বাড়ি কিনেছেন মালা। তার বিরুদ্ধে পিএইচডি ডিগ্রির সনদ জাল করার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে ২০১৫ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল। সংবাদে বলা হয়েছিল- নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বনিম্ন নম্বর পেয়ে অকৃতকার্য হয়েও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। এমনকি তার পিএইচডি ডিগ্রির সার্টিফিকেটটাও জাল সার্টিফিকেট ছিল। আর ওই পিএইচডি কোর্সের কো-সুপারভাইজার ছিলেন তারই স্বামী মোস্তফা আনোয়ার। এমনকি মালা খান যে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়েছেন, সেই প্রতিষ্ঠানের কোনো অনুমোদনই নেই।

নিজ অফিসে গোপন কক্ষ কিংবা আয়নাঘরের বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন মালা খান। তিনি জানান- ‘ঘটনাটি সম্পূর্ণ বানোয়াট। ৫ আগস্টের পর কয়েকদিন অফিসে যাননি তিনি। এর মধ্যেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হয়েছে, মিথ্যা ঘটনা তৈরি করা হয়েছে। ওই কক্ষের সম্পর্কে অফিসের লোকজন আগে থেকেই সবকিছু জানতো। কিন্তু এখন সেটিকে গোপনকক্ষ নাম দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। মূলত তাকে অপদস্থ করার জন্যই এমন নাটক সাজানো হয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয় বরাবরও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু মিথ্যা ঘটনার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কোন আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারছেন না তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়া সহজ ও গতিশীল করার সুপারিশ

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ছানোয়ারসহ ৩ নেতা রিমান্ডে

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

অপারেশন ডেভিল হান্ট : সারাদেশে আরো ৫২৯ জন গ্রেপ্তার

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

হত্যা মামলায় মেনন, ইনু,ফারজানা ও শাকিল রিমান্ডে

সব খবর

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App