অশ্লীল ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে ৭ বছর ধরে মামাতো বোনকে ধর্ষণ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২০ এএম
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আবদুল করিমের ছেলে রাহাত হোসেন। মামাতো বোনকে দীর্ঘ সাত বছর ধরে ধর্ষন করে আসছে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ওই মেয়েকে। এ ঘটনা যাতে কাউকে না জানায়, এ জন্য অশ্লীল ছবি-ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল করার হুমকি দিতে থাকে এই কিশোরিকে।
এমন অভিযোগ ওঠেছে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার বাবু নগর গ্রামের বাসিন্দা আবদুল করিমের ছেলে রাহাত হোসেনের বিরুদ্ধে। অতঃপর ধর্ষণের ঘটনা ফাঁস হয়ে গেলে পারিবারিকভাবে রাহাতের সঙ্গে ভিকটিমের বিয়ে হয়। সেখানেও রয়েছে নানা অসংগতি।
২১ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে জেলা শহর মাইজদীতে একটি সংবাদ মাধ্যমের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে ভিকটিমের মা খায়রুন নেছা সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন। খায়রুন নেছা অভিযোগ করে বলেন, রাহাত আমার আপন ভাইয়ের ছেলে হয়। রাহাত আমার কিশোরী কন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের অশ্লীল ছবি-ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে ভাইরাল করার হুমকি দেয়।
ঘটনার এইখানেই শেষ নয়, ভুক্তভুগি কিশোরির মা আরো জানান, এ ঘটনা জানাজানা হয়ে গেলে গ্রাম সালিশের মাধ্যমে দুজনের বিয়ে হয়। কিন্তু ধর্ষক রাহাতের পরিবার মেয়েকে বাড়িতে তুলে নিতে অসিকৃতি জানায়। যৌতুক চায় ২০ লাখ টাকা
নির্যাতনের শিকার ভুক্তভোগি ঐ কিশোরি বলেন, আমার সরলতার সুযোগ নিয়ে আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং ধর্ষণের ছবি-ভিডিও ধারণ করে রাহাত।
খায়রুন নেসার ভাষ্যমতে, গরিব পরিবার হওয়ায় মাত্র ৫ লাখ টাকা যৌতুক দিতে গেলে, তখন রাহাতের পরিবার তাদেরকে জোর করে তাড়িয়ে দেয়।
ধর্ষক রাহাত, তার দোষর আবদুর রহিম ও শামীমের হাত থেকে বাঁচতে এবং তাদের গ্রেফতারপূর্বক বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগী এবং তার পরিবারের সদস্যরা।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, খায়রুন নেছা নামের এক নারী এই সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। এব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।