সাদিয়ার পর এবার মৌসুমী হামিদের সঙ্গে ঘটল আপত্তিকর ঘটনা

কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ পিএম
ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যে ভিডিওটি অভিনেত্রীকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলেছে, যা এক সাংবাদিক অভিনেত্রীর অনুমতি না নিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে।
এরপর দর্শকমহল থেকে শুরু করে তারকাদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। পোশাক নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল নায়িকা মৌসুমি হামিদকে। তার সঙ্গে শুটিং সেটে ঘটে যাওয়া এক অপ্রীতিকর ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন এই নায়িকা। নিজের ফেসবুক একাউন্টে তিনি দীর্ঘ এক স্ট্যাটাস দিয়েছেন মৌসুমি।
মৌসুমি হামিদ বলেন, প্রায় ৩ বছর আগের কথা পুবাইল সুটিং করছি । বেশ রাত হয়েছে । কিন্তু অনেক কাজ বাকি। সাধারনত আমারা যখন সুটিং করি বিশেষ করে আউটডোর , তখন কাজের চাপ থাকে বেশি এবং সুটিং লোকেশন এবং মেকাপ রুম বা চেন্জ রুম বেশ দুরে হয় । বার বার দৌড়াদৌড়ি করে কাপড় পাল্টাতে বেশ কষ্ট হয় এবং সময় ও বেশি লাগে।
পরিচালক আমাকে খুব করে অনুরোধ করলেন বার বার মেকাপ রুমে যেয়ে চেন্জ করতে যেই সময় লাগছে সেই সময় টাও নেই, উনি বললেন আমি যদি অনুমতি দেই উনি আমার কাপড়ের ব্যাগ টা ঐ মাটির ঘরে আনার ব্যাবস্থা করবেন ওখানেই চেন্জ করতে পারব কিনা । আমি বললাম ঠিক আছে। যদিও সেই ঘরটা মোটেও আরামদায়ক বা সেইফ নয়। তার উপর দেখি ছিকানি ও নাই দরজায়। আমি বললাম তাহলে কীভাবে হবে?
তখন ক্যামেরায় যিনি ছিলেন উনাকে আমি মামা ডাকতাম উনি বললেন মামু তুমি টেনশন নিও না আমি আছি বাইরে পাহারা দিচ্ছি। আমি ওনার কথা বিশ্বাস করে ঐ মাটির ঘরে ঢুকি। সব জানলা বন্ধ করে দেই এবং দরজা চাপিয়ে দেই । কি যেন মনে করে শাড়িটার ভাঁজ খুলে আমি পুরো শাড়ীটা ওড়নার মত কাঁধের উপর রেখে দেই এবং ঠিক তখনি লাইটের একটা ছেলে হুড়মুড় করে ঘরে ঢুকে পড়ে। আমি চিৎকার দিয়ে উঠি “এই চেইন্জ করি”!
তখন প্রচণ্ড রাগ হল মামার উপর। চিৎকার দিলাম একটা। আমি শুধু মাত্র সহযোগিতা করার জন্য এমন একটা জায়গায় কাপড় পাল্টাতে রাজি হলাম কারন আমাকে কথা দেয়া হয়েছিল বাহিরে একজন দায়িত্ব নিয়ে পাহারা দিবে। আমি যখন ঘরের ভিতর থেকেই চিৎকার করছি ইউনিটের উপর তাদের দায়িত্বহীনতা নিয়ে তখন সেই মামা (চিত্রগ্রাহক) বিরক্তি নিয়ে বলে উঠলেন “আরে বাদ দে তো ও তো ঢুকেই বের হইয়া আসছে এইটুকু সময় আর কি দেখছে । ঐ ছেলে টাকে উদ্দেশ্য করে বললো “ঐ তুই কিছু দেখছোস”? বলে অসভ্যর মত হাসতে লাগলো। ছেলেটা কোন উত্তর দিল না।
আমার শরিরের যত খানি অংশ দেখা গেছে সেটা তেমন কোন বিষয়ই না। আমি নাকি ওভার রিএক্ট করছি। এইকথা শোনার পর আমি বের হয়ে জীবনের সর্বোচ্চ রিএক্ট সেদিন করেছি সেটে। আমার কলিগের কাছে আমার “ সম্ভ্রম” এতটা তুচ্ছ ? পরিবার ছেড়ে দিনের বেশিরভাগ সময় যাঁদের সাথে কাজ করি তারা এই ভাবে তাদের দায়িত্বহীনতা জাস্টিফাই করবে?