রাশেদের অভিযোগকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বললেন সারজিস

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১২ পিএম
প্রশাসনে অস্থিরতার জন্য এক উপদেষ্টা'কে দায়ী করলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। সম্প্রতি দুইজন সমন্বয়কের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলায় আওয়ামীপন্থী ডিসি নিয়োগের অভিযোগ উঠে। এছাড়া গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁনের ‘ডিসি নিয়োগে দুইজন সমন্বয়ক জড়িত’ বক্তব্যের জেরে একটি ফেসবুক পোস্ট দিয়েছেন সারজিস আলম।
গণমাধ্যম এ নিয়োগের আসল অভিযুক্তদের বাদ দিয়ে সমন্বয়কদের নিয়ে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করার অভিযোগ করেছেন তিনি। ঐ স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, আজকে দেখলাম একটা প্রোগ্রামে গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ ভাই বললেন সমকাল পত্রিকায় নাকি নিউজ হয়েছে- দুইজন সমন্বয়ক ডিসি নিয়োগের সাথে জড়িত! অলরেডি আওয়ামীলীগের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া নাকি ডিসি নিয়োগের মাধ্যমে শুরু হয়ে গেছে। ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৬ জেলার ডিসি নাকি তারা নিয়োগ দিয়েছে! নাম সারজিস আর হাসনাত! এরপর সমকাল পত্রিকায় এই নিউজ খোঁজা শুরু করলাম। কোথাও পেলাম না দুই সমন্বয়কের নাম!
পরে যুগান্তর পত্রিকায় এমন একটা নিউজ পেলাম। সচিবালয়ে এমন একটা ঝামেলা হয়েছে। কেউ একজন আমাদের সাথে পরিচয়ের কথা বলেছেন। এরপর আমাদের কাছে জানতে না চেয়ে, আমাদের নাম ম্যানশন নিয়ে আমাদের মতামত না নিয়ে কোনো এক হলুদ সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করেছেন। সম্পূর্ণ মিথ্যা এই সংবাদ কত টাকার বিনিময়ে কিংবা কার স্বার্থে তিনি এই কাজ করেছেন সেটা তিনিই ভালো জানেন।
আবার পরের দিনের যুগান্তর পত্রিকায় দেখলাম সত্যতা যাচাই না করে সমন্বয়কদের নাম ব্যবহার করে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ কারণে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সেটা মানুষের চোখে পড়েনি। কারণ ওই মানুষগুলো প্রকৃতপক্ষে পক্ষপাতদুষ্ট। এই হলো কতিপয় বিভিন্ন রংয়ের সাংবাদিকদের অবস্থা।
রাশিদকে উদ্দেশ্য করে সারজিস আলম লিখেন, কিন্তু এই যে রাশেদ ভাই দেশের একটা রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, তার জায়গা থেকে একটা ফোরামে তথ্য যাচাই না করে গুজবলীগের এক্সটেন্ডেড ভার্সনের মতো পাগলের প্রলাপ করা কতটুকু শোভা পায়?
নতুন বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্ম ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে তার মতো তরুণদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। কিন্তু সেই সময়ে তথাকথিত প্রথাগত কিছু রাজনীতিবিদদের মতো অন্যকে মিথ্যাচারের মাধ্যমে ছোট করে বড় হতে চাওয়ার যে কলুষিত টেকনিক, সেটার আশ্রয় নিয়ে তিনি শুধু নিজেকে প্রশ্নবিদ্ধ করলেন না বরং তরুণ নেতৃত্বের আস্থার জায়গায় সংকট তৈরি করলেন।
জনপ্রশাসনে আছেন স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা, আছেন তার সহযোগী মাহফুজ ভাই। সরাসরি দায়িত্বের জায়গা থেকে প্রভাবিত করছেন আলী ইমাম মজুমদার এবং তার পিএস আহসান কিবরিয়া। আহসান কিবরিয়া শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক মেয়াদে পরিচালক (২০১৫-২০২০), দুই মেয়াদে মহাপরিচালক (২০২০-২০২৪)। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের দিনও এই আহসান কিবরিয়া শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক। এই আহসান কিবরিয়াকে বর্তমানে রানিং পিএস বানিয়েছে আলী ইমাম মজুমদার। এই মজুমদার সাহেব যখন মন্ত্রীপরিষদ সচিব ছিলেন (২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল ) তখন আহসান কিবরিয়া ছিল তার একান্ত সচিব।
ডিসি নিয়োগে যদি আওয়ামী দোসররা স্থান পায় তবে উপরের এই মানুষগুলো কি করছিলো? তাদেরকে প্রশ্ন করা হয়না কেনো? তাহলে তো তারা- হয় ব্যর্থ নাহয় তাদের কাজ তারা করেনা। আমরা নিয়োগ দেওয়ার কে? আমরা কি কোনো অথরিটি? সমন্বয়কদের নাম ভাঙিয়ে খাওয়ার এই অপচেষ্টা আপনাদের পর্যায়ে কি মানায়?