সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মতোই পরিচয় আড়াল করে বেসরকারি পাসপোর্ট নিয়েছেন আলোচিত ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ ওরফে ‘ডিবি হারুন’। নিয়মানুযায়ী তার অফিশিয়াল পাসপোর্ট পাওয়ার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট নেন। জালিয়াতির মাধ্যমে নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল অফিস থেকে পাসপোর্ট নেন হারুন। এবার সেই জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে গণমাধ্যমের কাছে।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হারুনের পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য সামনে আসে। এরপর দ্রুততম সময়ে ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে হারুনের পাসপোর্ট আবেদন সংক্রান্ত সমুদয় কাগজপত্র বিশেষভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দায়দায়িত্ব নিরূপণের চেষ্টা চলছে। জানা যায়, হারুন অর রশিদ ২০১২ সালে তার পুরোনো পাসপোর্ট বদলে নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট আবেদন করেন। ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার আবেদন জমা করা হয়। এ সময় তিনি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় আড়াল করে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করেন।
২০১২ সালে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুককে পেটানোর ঘটনায় হারুনের নাম দেশজুড়ে আলোচনায় উঠে আসে। ঘটনার পরপরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসাল অফিস থেকে তিনি সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন জমা দেন। এ সময় তিনি নিজের পরিচয় গোপন করেন। আবেদন ফরমে পেশার ঘরে লেখেন অন্যান্য। অর্থাৎ তিনি সরকারি চাকরিজীবী নন। সূত্র জানায়, সাবেক হুইপ ফারুককে পেটানোর ঘটনায় তিরস্কার বা শাস্তির বদলে তৎকালীন সরকার হারুনকে পুরস্কৃত করে। এমনকি তাকে পুলিশের বীরত্বসূচক পিপিএম পদক দেওয়া হয়। একপর্যায়ে হারুন অনেকটা বীরের বেশে দেশে ফেরেন।
সূত্র বলছে, রহস্যজনক কারণে ২০১৭ সালে ফের তিনি অফিশিয়াল পাসপোর্ট বদলে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করেন। তৎকালীন গাজীপুরের পুলিশ সুপার থাকা অবস্থায় তিনি পাসপোর্টের গাজীপুর অফিসে আবেদন জমা দেন। কিন্তু যথাযথ যাচাই ছাড়াই আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়। অথচ অফিশিয়াল পাসপোর্ট থেকে সাধারণ বা সাধারণ থেকে অফিশিয়াল পাসপোর্টে রূপান্তরে কড়া বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু হারুনের ক্ষেত্রে এসব নিষেধাজ্ঞা তেমন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরে সংরক্ষিত হারুনের আবেদন সংক্রান্ত কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গাজীপুরের পুলিশ সুপার থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালের ১৮ জুন আরেক দফা সাধারণ পাসপোর্ট হাতে পান হরুন। যার মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তিনি ফের পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন। ১৭ আগস্ট তাকে নতুন করে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানার জন্য পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ নাম প্রকাশ করে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই পুলিশ কর্মকর্তা হারুন আত্মগোপনে রয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকবার অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেও তার মোবাইল ফোন নম্বর অদ্যাবধি বন্ধ। এমনকি ফেসবুকেও তাকে আর সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মতোই পরিচয় আড়াল করে বেসরকারি পাসপোর্ট নিয়েছেন আলোচিত ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ ওরফে ‘ডিবি হারুন’। নিয়মানুযায়ী তার অফিশিয়াল পাসপোর্ট পাওয়ার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট নেন। জালিয়াতির মাধ্যমে নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল অফিস থেকে পাসপোর্ট নেন হারুন। এবার সেই জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে গণমাধ্যমের কাছে।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হারুনের পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য সামনে আসে। এরপর দ্রুততম সময়ে ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে হারুনের পাসপোর্ট আবেদন সংক্রান্ত সমুদয় কাগজপত্র বিশেষভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দায়দায়িত্ব নিরূপণের চেষ্টা চলছে। জানা যায়, হারুন অর রশিদ ২০১২ সালে তার পুরোনো পাসপোর্ট বদলে নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট আবেদন করেন। ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার আবেদন জমা করা হয়। এ সময় তিনি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় আড়াল করে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করেন।
২০১২ সালে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুককে পেটানোর ঘটনায় হারুনের নাম দেশজুড়ে আলোচনায় উঠে আসে। ঘটনার পরপরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসাল অফিস থেকে তিনি সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন জমা দেন। এ সময় তিনি নিজের পরিচয় গোপন করেন। আবেদন ফরমে পেশার ঘরে লেখেন অন্যান্য। অর্থাৎ তিনি সরকারি চাকরিজীবী নন। সূত্র জানায়, সাবেক হুইপ ফারুককে পেটানোর ঘটনায় তিরস্কার বা শাস্তির বদলে তৎকালীন সরকার হারুনকে পুরস্কৃত করে। এমনকি তাকে পুলিশের বীরত্বসূচক পিপিএম পদক দেওয়া হয়। একপর্যায়ে হারুন অনেকটা বীরের বেশে দেশে ফেরেন।
সূত্র বলছে, রহস্যজনক কারণে ২০১৭ সালে ফের তিনি অফিশিয়াল পাসপোর্ট বদলে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করেন। তৎকালীন গাজীপুরের পুলিশ সুপার থাকা অবস্থায় তিনি পাসপোর্টের গাজীপুর অফিসে আবেদন জমা দেন। কিন্তু যথাযথ যাচাই ছাড়াই আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়। অথচ অফিশিয়াল পাসপোর্ট থেকে সাধারণ বা সাধারণ থেকে অফিশিয়াল পাসপোর্টে রূপান্তরে কড়া বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু হারুনের ক্ষেত্রে এসব নিষেধাজ্ঞা তেমন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরে সংরক্ষিত হারুনের আবেদন সংক্রান্ত কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গাজীপুরের পুলিশ সুপার থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালের ১৮ জুন আরেক দফা সাধারণ পাসপোর্ট হাতে পান হরুন। যার মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তিনি ফের পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন। ১৭ আগস্ট তাকে নতুন করে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানার জন্য পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ নাম প্রকাশ করে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই পুলিশ কর্মকর্তা হারুন আত্মগোপনে রয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকবার অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেও তার মোবাইল ফোন নম্বর অদ্যাবধি বন্ধ। এমনকি ফেসবুকেও তাকে আর সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের মতোই পরিচয় আড়াল করে বেসরকারি পাসপোর্ট নিয়েছেন আলোচিত ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ ওরফে ‘ডিবি হারুন’। নিয়মানুযায়ী তার অফিশিয়াল পাসপোর্ট পাওয়ার কথা থাকলেও রহস্যজনক কারণে তিনি সাধারণ পাসপোর্ট নেন। জালিয়াতির মাধ্যমে নিউইয়র্কের কনসাল জেনারেল অফিস থেকে পাসপোর্ট নেন হারুন। এবার সেই জালিয়াতির তথ্য উঠে এসেছে গণমাধ্যমের কাছে।
সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর হারুনের পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য সামনে আসে। এরপর দ্রুততম সময়ে ঘটনার অভ্যন্তরীণ তদন্ত শুরু করে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। ইতোমধ্যে হারুনের পাসপোর্ট আবেদন সংক্রান্ত সমুদয় কাগজপত্র বিশেষভাবে সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দায়দায়িত্ব নিরূপণের চেষ্টা চলছে। জানা যায়, হারুন অর রশিদ ২০১২ সালে তার পুরোনো পাসপোর্ট বদলে নতুন মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট আবেদন করেন। ১৬ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে তার আবেদন জমা করা হয়। এ সময় তিনি পুলিশ কর্মকর্তার পরিচয় আড়াল করে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করেন।
২০১২ সালে বিএনপি নেতা জয়নুল আবদীন ফারুককে পেটানোর ঘটনায় হারুনের নাম দেশজুড়ে আলোচনায় উঠে আসে। ঘটনার পরপরই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। পরে নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনসাল অফিস থেকে তিনি সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন জমা দেন। এ সময় তিনি নিজের পরিচয় গোপন করেন। আবেদন ফরমে পেশার ঘরে লেখেন অন্যান্য। অর্থাৎ তিনি সরকারি চাকরিজীবী নন। সূত্র জানায়, সাবেক হুইপ ফারুককে পেটানোর ঘটনায় তিরস্কার বা শাস্তির বদলে তৎকালীন সরকার হারুনকে পুরস্কৃত করে। এমনকি তাকে পুলিশের বীরত্বসূচক পিপিএম পদক দেওয়া হয়। একপর্যায়ে হারুন অনেকটা বীরের বেশে দেশে ফেরেন।
সূত্র বলছে, রহস্যজনক কারণে ২০১৭ সালে ফের তিনি অফিশিয়াল পাসপোর্ট বদলে সাধারণ পাসপোর্টের আবেদন করেন। তৎকালীন গাজীপুরের পুলিশ সুপার থাকা অবস্থায় তিনি পাসপোর্টের গাজীপুর অফিসে আবেদন জমা দেন। কিন্তু যথাযথ যাচাই ছাড়াই আবেদনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে পাসপোর্ট দেওয়া হয়। অথচ অফিশিয়াল পাসপোর্ট থেকে সাধারণ বা সাধারণ থেকে অফিশিয়াল পাসপোর্টে রূপান্তরে কড়া বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু হারুনের ক্ষেত্রে এসব নিষেধাজ্ঞা তেমন বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরে সংরক্ষিত হারুনের আবেদন সংক্রান্ত কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, গাজীপুরের পুলিশ সুপার থাকা অবস্থায় ২০১৭ সালের ১৮ জুন আরেক দফা সাধারণ পাসপোর্ট হাতে পান হরুন। যার মেয়াদ ছিল ২০২২ সালের ১৭ জুন পর্যন্ত। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তিনি ফের পাসপোর্ট নবায়নের আবেদন করেন। ১৭ আগস্ট তাকে নতুন করে ই-পাসপোর্ট দেওয়া হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে জানার জন্য পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কেউ নাম প্রকাশ করে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
৫ আগস্ট হাসিনা সরকার পতনের পর থেকেই পুলিশ কর্মকর্তা হারুন আত্মগোপনে রয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকবার অজ্ঞাত স্থান থেকে গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিলেও তার মোবাইল ফোন নম্বর অদ্যাবধি বন্ধ। এমনকি ফেসবুকেও তাকে আর সক্রিয় দেখা যাচ্ছে না।