ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়েছে মাওলানা সাঈদীকে!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৪ পিএম
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির ও এমপি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হাসপাতালে চিকিৎসার নামে ইনজেকশন দিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার দ্বিতীয় সন্তান ‘আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন’র চেয়ারম্যান মাওলানা শামীম সাঈদী। গাজীপুরের কাপাসিয়ার রাউৎকোনা কামিল মাদ্রাসা ময়দানে আয়োজিত এক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমার বাবাকে চিকিৎসার নামে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। একজন হার্ট অ্যাটাকের রোগী এভাবে হাসি দিতে পারে না। এতো সুন্দর একটি হাসি দিয়ে সবাইকে সালাম জানিয়ে তিনি বিদায় নিলেন। হাসপাতালে নিয়ে অপচিকিৎসার মাধ্যমে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ইনজেকশন দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আল্লামা সাঈদী হত্যার বিচার হতে হবে। সব হত্যাকাণ্ডের বিচার হতে হবে। ছাত্র জনতাকে হত্যা করেছে তাদের বিচার হতে হবে। যারা পালিয়ে গেছে তাদের দেশে এনে ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে বিচার করতে হবে।
তিনি বলেন, হাসিনার বাবা ৭১-৭৫ সালে ৩০ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। হাসিনা জুলাই আগস্ট মাসে দেড় হাজার মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এ সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে হবে। সাঈদী ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী বলেছেন, কোরআনের মাহফিলে ইসলামের কথা বলার অপরাধে পরিকল্পিতভাবে আমার বাবা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে। আজকের এই মাহফিলে আপনারা আমার বাবার কথা শুনতে চেয়েছিলেন, কিন্তু খুনি সরকার তা হতে দেয়নি।
এর আগে ৩০ অক্টোবর বিকেলে সাতক্ষীরা ইটাগাছা সমাজকল্যাণ পরিষদের দুই দিনব্যাপী ৮ম বার্ষিক তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে প্রথম দিনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে একই কথা বলেন মাসুদ সাঈদী।
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে তথাকথিত ক্যাঙ্গারু ট্রাইব্যুনাল থেকে আল্লামা সাঈদীর মিথ্যা মামলার রায় দিয়েছিল। সেই প্রতিবাদে যখন সারা বাংলাদেশ ফুঁসে উঠেছিল তখন শেখ হাসিনার নির্দেশে গুলি করে ৩শ মানুষকে হত্যা করেছে। শাপলা চত্বরে ৫ মে এই দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান আলেম সমাজ একত্রিত হয়েছিলেন নাস্তিকদের বিচারের দাবিতে; তখন হাসিনা রাতের আঁধারে হাজার হাজার আলেমকে গুলি করে হত্যা করেছিল।
শেখ হাসিনার হাত লাখো মানুষের রক্তে রঞ্জিত। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা হাজারো মানুষকে হত্যা করেছে, হাজারো মানুষকে হত্যার মাধ্যমে তার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে চেয়েছিল। অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের আহ্বান জানান মাসুদ সাঈদী।
শেখ হাসিনার বুদ্ধিদাতা, পরামর্শদাতা ও শেখ হাসিনার গডফাদার ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশ থেকে তারা ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিল। সে কারণে বাংলাদেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সকল দলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাবন্দী করা হয়েছিলো বলে অভিযোগ করেন।