অযত্ন আর অবহেলায় ধ্বংসের পথে শেরে বাংলার বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩০ পিএম
সাতুরিয়া এম এম উচ্চ বিদ্যালয়। ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার ১নং সাতুরিয়া ইউনিয়নে ১৯৪১ এটি প্রতিষ্ঠা করেন অবিভক্ত বাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী বাংলার বাঘ হিসেবে খ্যাত শেরে বাংলা একে ফজলুল হক।
কিন্তু বর্তমানে বিদ্যালয়টির বেহাল দশা। অযত্ন আর অবহেলায় জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। সেই সাথে তার বসতবাড়িটিরও বেহাল দশা। ফলে দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক এখানে এসে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
শেরে বাংলার বাসভবনটি প্রত্নসম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই ঘোষণার কয়েক বছর পার হলেও তা সংরক্ষণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। অযত্ন আর অবহেলার মধ্যে রয়েছে এই নেতার বিভিন্ন স্মৃতিচিহ্ন। ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে বসতবাড়ির স্থাপনাও।
শেরে বাংলার প্রতিষ্ঠিত এম এম হাই স্কুলে বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত চলছে পাঠদান। কিন্তু স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়নে নজর নেই কর্তৃপক্ষের। ১৯৬৭ সালে নির্মিত স্কুলের অন্য একটি ভবনও ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
শেরে বাংলার শৈশব ও কৈশোরের কেটেছে সাতুরিয়া গ্রামে। এখানকার একটি মক্তবে তিনি লেখাপড়া করতেন। যে পুকুরে তিনি সাঁতার কাটতেন তা আজও আছে। এক সময় রাজনীতির অন্যতম প্রাণকেন্দ্র ছিল এই সাতুরিয়া। মোঘল আমলে নির্মিত মহান এই নেতা যে ভবনে জন্ম নিয়েছিলেন, সেটিও এখন জরাজীর্ণ অবস্থায় পরে আছে।
প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর বছর কয়েক আগে শেরে বাংলার জন্মস্থানটি তাদের আওতায় নিয়েছে। এরপর ২০১৭ সালে শুধু শেরে বাংলার জন্মগ্রহণ করা ভবনের ছাদটি সংস্কার করা ছাড়া আর কিছুই করা হয়নি। তাই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকাবাসী।
এছাড়া ২০০৮ সালে ঝালকাঠি জেলা পরিষদ ‘শেরে বাংলা নামে একটি পাঠাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। এজন্য টাকাও বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু নানা জটিলতায় সেটিও আলোর মুখ দেখেনি।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস দিয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব সরকারি বরাদ্দ এনে সংস্কার করার।
সাতুরিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নসহ শেরে বাংলার নামে একটি প্রথম শ্রেণির কলেজ, ডাক বাংলো ও জাদুঘর প্রতিষ্ঠার দাবি এলাকাবাসীর।