আমুর সঙ্গে এক তরুণীর ছবি নিয়ে হঠাৎ এতো আলোচনা কেন?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ পিএম
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো দল আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিলে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার সঙ্গে এক মেয়ের ছবিকে ঘিরে নানা প্রশ্নের ডালপালা মেলতে শুরু করেছে। এই মেয়ে কে ও তার সঙ্গে নিঃসন্তান আমুর কী সম্পর্ক, তা নিয়ে অনেকের মধ্যেই কৌতূহল দেখা গেছে।
৭ নভেম্বর আমুর ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আমু রিমান্ডে থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় তার সঙ্গে তরুণীর একটি ছবি। অনেকের মধ্যেই কৌতূহল দেখা গেছে কে এই তরুণী ? তার সঙ্গে নিঃসন্তান আমুর সম্পর্কই বা কী? আমু অবৈধভাবে এতো টাকা ইনকাম করে কেন এই তরুণীর কাছে পাঠিয়েছেন তা নিয়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, এই তরুণীর নাম সুমাইয়া হোসেন। তিনি আমুর মেয়ে হিসেবে পরিচিত। অনেক বছর আগেই সুমাইয়াকে দত্তক নেন বলে জানা গেছে। আমুর শ্যালিকা মেরী আক্তারের কাছ থেকে এই মেয়েকে দত্তক নিয়েছিলেন নিঃসন্তান আমু। সুমাইয়া দুবাইপ্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। বর্তমানে দুবাইয়ে বসবাস করছেন।
অভিযোগ রয়েছে, আমুর অবৈধপথে আয়ের বড় অংশই সুমাইয়ার কাছে। হুন্ডির মাধ্যমে পাঠানো অবৈধ পন্থায় আয় করা শতকোটি টাকা ওই মেয়ের কাছে পাঠিয়েছেন আমু।
জানা গেছে, আমির হোসেন আমুর অবৈধ সম্পদ দেখাশোনা করতেন তার ভায়রা ও সহকারী একান্ত সচিব ফখরুল মজিদ কিরন। তিনি আবার সাবেক শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ূনের ভাই। তারও এপিএস ছিলেন কিরন। আমুর শ্যালিকা মেরী আক্তার ও কিরন দম্পতির কন্যা সুমাইয়াকে দত্তক নিয়েছিলেন নিঃসন্তান আমু। এই সুমাইয়া ও কিরনের কাছেই আমুর অবৈধ আয়ের অধিকাংশ গচ্ছিত রাখা। কিরনের বাড়ি ঢাকা বিভাগের নরসিংদী জেলায়।
অভিযোগ রয়েছে, সর্বশেষ শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ হুমায়ুনের আপন ছোট ভাই কিরন তার নিজের এলাকা বাদ দিয়ে পড়ে থাকতেন ঝালকাঠি। শুধু সম্পদ ভাণ্ডারের দেখাশোনা আর পার্সেন্টেজ আদায় নয়, নির্বাচনী এলাকায় আমুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডও দেখাশোনা করতেন তিনি।
এদিকে গত ৬ আগস্ট আমুর ঝালকাঠির বাসভবন থেকে ডলার-ইউরোসহ প্রায় ৫ কোটি টাকা উদ্ধার করে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, সাবেক এমপির বাসা থেকে পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আমরা একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। টাকা জমা আছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।