ফের বিয়ে করছেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৪ এএম
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে চলেছেন অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস। দীর্ঘ ৮ বছর সম্পর্কে থাকার পর বান্ধবী লরেন সাঞ্চেজ়ের সঙ্গে তাঁর গাঁটছড়া বাঁধার গুঞ্জন সংবাদমাধ্যম ও সমাজমাধ্যম জুড়ে। ২০২৩ সালের মে মাসে বেজোস ও লরেন ফ্রান্সের দক্ষিণে ছুটি কাটাতে যান। সেখানেই তাঁর প্রমোদতরীতে লরেনকে ২১ কোটি ১১ লক্ষ টাকার একটি গোলাপি হিরের আংটি দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব করেছিলেন অ্যামাজন কর্তা। সেই বিরল হিরেটি ২০ ক্যারাটের।
আসন্ন বড়দিনেই ঘনিষ্ঠদের সাক্ষী রেখে এক জমকালো বিয়ের অনুষ্ঠানে চার হাত এক হবে বেজোস -লরেনের। সেই বিয়ের প্রস্তুতিতেই আপাতত ব্যস্ত যুগল। এমনটাই বলা হয়েছে ‘দ্য সান’-এর একটি প্রতিবেদনে। কয়েক বছর ধরেই বেজোস-লরেনের বিয়ে নিয়ে চর্চা জারি ছিল বিভিন্ন মহলে। আমেরিকার কলোরাডোর অ্যাস্পেনে বসতে পারে এই তারকাখচিত বিয়ের আসর। ঘন ঘনই বেজোস ও লরেনকে এই শহরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। তাই নিজেদের নতুন জীবন শুরু করার জন্য প্রিয় শহরটিকে বেছে নিতে চলেছেন হবু দম্পতি।
তবে দুই তারকার বাগ্দান অনুষ্ঠানটিও কম আকর্ষণীয় ছিল না। চার হাজার কোটির বিলাসবহুল প্রমোদতরী ‘কোরু’তে বাগদত্তার সঙ্গে আংটিবদল পর্ব সারেন বেজোস । বিশ্বের অন্যতম ধনকুবেরের এই প্রমোদতরীও বিলাসিতায় মোড়া । সেই বাগ্দান পর্বে অতিথি তালিকায় বিল গেটস, লিওনার্দো দি’ক্যাপ্রিও এবং জর্ডনের রানি রানিয়ার মতো উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিদের নাম জানা যায়।
লরেন সাঞ্চেজ এবং জেফ বেজোস তাঁদের এই সম্পর্ক নিয়ে বেশ খুশি। একাধিক সাক্ষাৎকারে দু’জনের সেই সমীকরণ প্রকাশ পেয়েছে। একাধিক সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পর বেজ়োসের হাত ধরে আরও এক বার থিতু হতে চাইছেন লরেন, এমনটাই জানিয়েছে আমেরিকার সংবাদমাধ্যমগুলি। নিউ মেক্সিকোয় ১৯৬৯ সালে লরেনের জন্ম। সেই হিসাব অনুযায়ী এখন তাঁর বয়স ৫৫ বছর। লরেনের কর্মজীবন শুরু লস অ্যাঞ্জেলসের একটি টিভি চ্যানেলের ডেস্ক অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে। কখনও টেলিভিশনে সঞ্চালিকা, কখনও সাংবাদিক, এমনকি অভিনেত্রী হিসাবেও কাজ করেছেন লরেন।
তিন সন্তানের মা সাঞ্চেজ। তাঁর প্রথম বিবাহের সন্তান নিক্কো, যার বয়স ২১। টনি গঞ্জালেজ সেই সন্তানের পিতা। বাকি দুই সন্তান সাঞ্চেজের দ্বিতীয় বিবাহের। প্যাট্রিক হোয়াইটসেলের সঙ্গে সংসার করার সময় জন্ম হয় ইভান ও এলার। ইভানের বয়স ১৮ এলা ১৬-র কিশোরী। ২০০৫ সালে প্রথম স্বামী টনির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় তাঁর। নিক্কোর বয়স তখন মাত্র চার বছর। এর পর হলিউড এজেন্ট প্যাট্রিক হোয়াইটসেলকে বিয়ে করেন তিনি। ২০০৬ সালে ছেলে ইভান এবং ২০০৮ সালে মেয়ে ইলার জন্ম হয়।