মুগ্ধ মারা যায়নি, মুগ্ধ স্নিগ্ধ দুই ভাই নয়, মুগ্ধ স্নিগ্ধ একজনই!

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১৩ পিএম
গত ২০ নভেম্বর রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় মুগ্ধ মারা যায়নি, মুগ্ধ স্নিগ্ধ একজনই ছিলো। অনেক নেটিজেন দাবি করছেন স্নিগ্ধই মুগ্ধ ছিলো,কিন্তু হঠাত এমনটা কেন বলছেন তারা? কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মুগ্ধ। কিন্তু এতদিন পর হঠাত কেন তার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে ফেসবুকে? আসলেই কি মুগ্ধ মারা যায়নি এখন জানবো এর রহস্য।
২০ নভেম্বর রাতে কিছু পেজসহ অনেক নেটিজেন পোষ্ট করতে শুরু করেন ‘ব্রেকিং নিউজ, মুগ্ধ মা'রা যায়নি, মুগ্ধ নামে কেউ ছিলই না! মুগ্ধ/স্নিগ্ধ দুই ভাই নয়, মুগ্ধই স্নিগ্ধ ছিলো। মানুষ একজনই! আর এরপরেই নেটিজেনদের মাঝে কৌতূহলের সৃষ্টি হয় এমনটা কেন বলছেন তারা?
ঘটনার সূত্রপাত ঘটে মুগ্ধর যমজ ভাই স্নিগ্ধের ইতালি ভ্রমণের পোষ্ট নিয়ে। সেই পোষ্টে কিছু নেটিজেন কমেন্ট করেন ‘মুগ্ধ ভাইয়ের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই বিদেশ সফর দিতে বের হয়ে গেলেন? তবে ইতালি ভ্রমণ বিষয়ে তাদের বড় ভাই মির মাহমুদুর রহমান বিষয়টি খোলাশা করেন।
তিনি জানান, মীর স্নিগ্ধর জুলাই এর ৩ তারিখে ইতালিয়ান এম্বাসি তে উচ্চতর শিক্ষার জন্য ফুল ফান্ডেড স্কলারশিপ এর অফার লেটার সহ তার পাসপোর্ট এবং সকল কাগজ পত্র জমা দেয়া ছিল যা সম্পুর্ন তার নিজের যোগ্যতায় অর্জিত। একটু খোঁজ নিয়ে দেখুন তা কতটা কষ্টসাধ্য। মীর মুগ্ধর ও একই ইচ্ছা ছিলো যে মীর স্নিগ্ধর পর সে ও সেখানে একইভাবে যাওয়ার এবং দুজনে একসাথে সেঞ্জেন অন্তর্ভুক্ত দেশগুলো ঘুরার।
কমেন্ট করা নেটিজেনদের উদ্দেশ্যে তিনি যোগ করে বলেন, যেখানে মীর স্নিগ্ধ তার কষ্টার্জিত অর্জনকে উপেক্ষা করে ইতালি থেকে তার সকল কাগজপত্র নিয়ে দেশের জন্য আবার চলে এসেছে সেখানে এ ধরনের কথাবার্তা খুবই দুঃখজনক। যাই হোক যেহেতু বাক স্বাধীনতা সবার আছে এবং এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের একটি ঘটনা তাই আমিও এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই জানাচ্ছি সেই নামগুলো সহই।
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগ অনেকটাই গুজব নির্ভর হয়ে পরেছে। আর এসব গুজবের জন্য মানুষের মাঝে বিভ্রান্ত সৃষ্টি হচ্ছে। মির মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ ইস্যুটিও গুজব ছাড়া আর কিছুইনা। যারা এই বিষয় নিয়ে পোষ্ট করছেন তাদের প্রোফাইল ঘেটে দেখা যায় সবাই আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ছিলেন এবং ৫ আগস্টের পর থেকেই তারা বিভিন্ন গুজব পোষ্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
গুজবের হাতিয়ার হিসেবে তারা ব্যবহার করেছে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধর একসাথে ছবি নেই কেন? মুগ্ধর জানাযার কোনো ভিডিও নেই কেন? ড. ইউনুস আবু সাঈদের কবর জিয়ারতে গেলেও মুগ্ধর কবর জিয়ারতে যায়নি কেন? মুগ্ধর পরিবার কোনো মামলা করেনি কেন?
তারা যেই প্রশ্নগুলো তুলেছে সেগুলো অনেকটাই ভিত্তিহীন, কারণ মুগ্ধ ও স্নিগ্ধের একসাথে ছবি প্রকাশ অনেক আগেই পেয়েছে। মুগ্ধর জানাযার একটি ভিডিও ইতোমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে মুগ্ধর পরিবার মামলা কেন করেনি বা মুগ্ধকে নিয়ে তাদের পরিকল্পনা কী সেি বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।