আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে ধস

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪০ পিএম
আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে ভারতীয় শিল্পপতি আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। ভারতের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের ২০২৯ কোটি রুপি ঘুষের প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। গৌতম আদানি ও তার ভাতিজা সাগর আদানি, দু’জনের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন।
আদানির বিরুদ্ধে অভিযোগ, ভারতের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প যা থেকে আগামী ২০ বছরে ২০০ কোটি ডলার লাভ করা সম্ভব হতো, সেই প্রকল্পের জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় ২০২৯ কোটি রুপি ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব করেছিল আদানি গোষ্ঠী।
মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার খবরের প্রভাব পড়েছে আদানির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেও। এ খবরে আদানি গ্রুপের শেয়ারে বড় ধরনের দরপতন শুরু হয়েছে। মাত্র একদিনেই ভারতীয় এ ব্যবসায়িক গোষ্ঠীটির ২৮০০ কোটি মার্কিন ডলার লোকসান হয়েছে।
নিউইয়র্কের ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের ইউএস অ্যাটর্নি অফিস থেকে জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ভারতীয় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রায় ২০২৯ কোটি রুপির বেশি ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া এবং বিনিয়োগকারী ও ব্যাংকের কাছে মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে আদানি ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে। অন্য ছয় অভিযুক্তের মধ্যে রয়েছেন- ‘আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেডের সিইও বিনীত জৈন, রঞ্জিত গুপ্তা, রুপেশ আগারওয়াল, অস্ট্রেলিয়া ও ফ্রান্সের নাগরিক সিরিল ক্যাবানেস, সৌরভ আগরওয়াল ও দীপক মালহোত্র।
আদানি গ্রুপের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আদানি গ্রিনের পরিচালকদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিচার বিভাগ এবং মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। এগুলো নিছক অভিযোগ এবং কেবলমাত্র সেই হিসেবেই দেখা উচিত।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির খবরে সঙ্গে সঙ্গেই ধস নেমেছে আদানির ব্যবসায়িক সাম্রাজ্যে। মাত্র দুই বছরের মাথায় দ্বিতীয়বারের মতো বড় ধরনের সংকটে পড়ল ভারতীয় ব্যবসায়ীক গ্রুপটি। বছর দুয়েক আগে মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ শেয়ারমূল্য কারচুপির অভিযোগ তুললে এমন সংকটে পড়েছিল আদানি গ্রুপ।
রয়টার্স জানিয়েছে, ২১ নভেম্বর আদানি গ্রিন এনার্জির শেয়ারদর ১৭ শতাংশ কমেছে। আদানি গোষ্ঠীর অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শেয়ারদর ১০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। একদিনে মার্কেট থেকে ২৮০০ কোটি ডলার মূল্য হারিয়েছে গোষ্ঠীটি। এবারের অভিযোগে মূল কেন্দ্রে থাকা প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রিন এনার্জি তাদের ৬০ কোটি ডলারের বন্ড বিক্রি বাতিল করেছে।