তবে কি সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ?

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ এএম
কানপুর টেস্টের আগে টি-টোয়েন্টি ও টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে ক্রিকেটের রাজকীয় ফরম্যাটকে বিদায়ে ছোট শর্তও জুড়ে দিয়েছিলেন। হোম অব ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলেই পাচঁ দিনের ক্রিকেটের অধ্যায়ে ইতি টানার ইচ্ছে ছিল সাকিব আল হাসানের। কিন্তু প্রত্যাশা আর বাস্তবতা হয়তো সবসময় পরিপূরক হয় না।
রাজনৈতিক বিতর্কে মিরপুরে খেলা হয়নি টাইগারদের সাবেক এই দলপতির। এবার ওয়ানডে ফরম্যাটের ভবিষ্যৎ-ও ফিকে হয়ে গেল দেশসেরা এই অলরাউন্ডারের। বিসিবির সঙ্গে আলোচনায় ফলপ্রসূ সমাধান না আসায় লাল-সবুজের জার্সিতে আর না-ও দেখা যেতে পারে তাকে।
নানান নাটকীয়তার পর প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকলেও শেষমেশ দেশে এসে মাঠে নামা হয়নি সাকিবের। সংযুক্ত আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও ছিলেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট দলেও নেই তিনি। তাই স্বাভাবিকভাবেই গুঞ্জন ছিল, ওয়ানডে সিরিজে সাকিব থাকবেন কি না। এসবের মাঝেই সাকিব ও তার স্ত্রী শিশিরের সব ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফলে, এই অলরাউন্ডারের ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার কী হবে, তা নিয়ে নানান শঙ্কা রয়েছে। এরই মাঝে, দেশের একটি জাতীয় দৈনিকের খবর, ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সাকিব থাকছেন না। মূলত তার জব্দ হওয়া ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়াসহ তিনটি শর্ত জুড়ে দিয়েছিলেন সাকিব। তাহলেই এই সিরিজে খেলতে সম্মত ছিলেন তিনি।
বিসিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, সাকিব বিসিবিকে অনুরোধ করেছিলেন অন্তত ব্যাংক লেনদেন স্বাভাবিক করতে এবং দেশে খেলার সুযোগ করে দিতে। কিন্তু বিসিবি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, বিষয়গুলো তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
মূলত বিসিবি সাকিবের শর্ত না মেনে নেওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতেও রঙিন জার্সিতে তাকে আর দেখা যাবে না। ফলে আসন্ন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও সাবেক বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের খেলাও অনেকটাই অনিশ্চিত। শেষ পর্যন্ত সাকিবের ভাগ্যে কি রয়েছে, তা হয়তো নিজেই জানিয়ে দেবেন সাকিব।