বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যুতে মুখ খুললো হোয়াইট হাউস

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:২১ পিএম
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের কথা বলে নেতিবাচক প্রচারণা করে আসছে। আর এই বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মাধ্যমে আলোচনাও উঠতে দেখা গেছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের অভিযোগ তুলে একাধিকবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। এবার এ বিষয়টি উঠে এসেছে হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্টের অবস্থানও জানতে চাওয়া হয়েছে। ফলে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার নিয়ে আমেরিকার অবস্থান জানিয়েছে হোয়াইট হাউস।
১২ ডিসেম্বর হোয়াইট হাউসের বিফ্রিংয়ে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এতে জানতে চাওয়া হয়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে হিন্দুদের হত্যা ও মন্দিরে হামলার অভিযোগ আসছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট অবগত কি না? হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশন পরিচালক অ্যাডমিরাল জন কিরবি বলেন, আমরা বিষয়টি অত্যন্ত গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এমনকি প্রেসিডেন্টও এ বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউসের এ কর্মকর্তা বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল হয়ে পড়েছে। আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য তাদের আইন প্রয়োগকারী এবং নিরাপত্তা পরিসেবার সক্ষমতা বাড়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি।
জন কিরবি আরও বলেন, আমরা বাংলাদেশি নেতাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনার সময় ধর্মীয় এবং জাতিগত সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়টি যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করছি। অন্তর্বর্তী সরকারও বারবার ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে সবার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে।
এর আগে গত ১০ ডিসেম্বর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ভারতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। ব্রিফিংয়ে জানতে চাওয়া হয়, বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ই ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশের একটি কূটনৈতিক মিশনে সহিংস হামলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এ হামলার ঘটনা এবং বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে ভারতের ক্রমবর্ধমান আগ্রাসী বক্তব্য নিয়ে আপনার কোনো মন্তব্য আছে কি না।
ওই প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমরা চাই শান্তিপূর্ণভাবে সব পক্ষ তাদের মধ্যকার বিরোধ সমাধান করবে।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত সহিংসতার বিষয়টি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে উঠে আসে। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের উর্দু ও হিন্দিভাষী মুখপাত্র মার্গারেট ম্যাকলিয়ডের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি সহিংসতার বিষয়টি নিয়ে ভারতের সংবাদমাধ্যমের খবরকে বারবার অতিরঞ্জন বলে আসছেন। এরই মধ্যে বিষয়টি আবারও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের আলোচনায় উঠে এসেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ থেকে পাওয়া খবরের ব্যাপারে দপ্তরের পক্ষ থেকে আবারও গভীর উদ্বেগ জানানো হয়েছে।