ইচ্ছাকৃতভাবে জেনে বুঝেই মেহজাবিন তনুর গ্রাফিতিতে পোস্টার লাগিয়েছেন! চাঞ্চল্যকর তথ্য

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম
একটি চলচ্চিত্র মুক্তির আগে সেই চলচ্চিত্রকে ঘিরে থাকে অনেক ধরণের পরিকল্পনা। সবথেকে যে বড় বিষয়টি চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মাথায় রাখতে হয় সেটি হচ্ছে মার্কেটিং। তবে মার্কেটিং সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকে, একটি পজেটিভ মার্কেটিং ও আরেকটি নেগেটিভ মার্কেটিং। তবে পজেটিভ মার্কেটিং এর থেকে নেগেটিভ মার্কেটিং ফলপ্রসু হয় দ্রুত ও এখানে টাকার অংকটাও থাকে অনেক বেশি। তবে এই দ্রুত ফলাফল ও অতিরিক্ত টাকার জন্য আজকাল অভিনেত্রীরা অনেক ঘৃণিত কাজ করতেও দ্বিধা হারিয়ে ফেলছেন যার অন্যতম একটি উদাহরণ ধর্ষণের শিকারে মৃত তনুর গ্রাফিতিতে মেহজাবিনের পোস্টার লাগানো।
গেল ১৮ ডিসেম্বর তনুর গ্রাফিতিতে মেহজাবিন পোস্টার লাগিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েন, পরবর্তীতে সেখানে এসে তিনি পোস্টার নিজ হাতে ছিড়ে সবার কাছে ক্ষমা চান এবং এ বিষয়ে নিজের ফেসবুকেও একটি পোস্ট করেন তিনি। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার সেই ভিডিওটি লক্ষ্য করলেও দেখা যায় ক্ষমা চাওয়ার সময়ও মেহজাবিনের মুখে হাসির ছাপ লেগে ছিলো। মেহজাবিনের এই সকল কাজই ছিলো নেগেটিভ মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মুভি প্রচারের একটি অংশ।
মেহজাবিনের যেই ভিডিওর মাধ্যমে এই পোস্টার লাগানোটি ভাইরাল হয় সেটি একটু বিশ্লেষণ করলেই মার্কেটিং এর বিষয়টি স্পষ্ট বোঝা যায়। ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায় মেহজাবিন যখন তনুর গ্রাফিতির ওপরে পোস্টার টাঙ্গাচ্ছিলেন ঠিক তখন থেকেই লাইভটি শুরু করা হয়। এটা কো ইন্সিডেন্স হিসেবে অনেকেই ধরে নিতে পারেন।
এবার আসা যাক মেহেজাবীন কি তনুর কথা জানতেন না? যদিও এই প্রশ্নের উত্তর মেহজাবিন পরে দিয়েছেন তিনি ভালোমতোই অবগত তনু বিষয়ে। ধরে নেয়া যাক তনুকে চিনতেন না মেহজাবিন, কিন্তু তনুর সেই গ্রাফিতিতে লক্ষ্য করলেই স্পষ্ট দেখা যায় সেখানে ইংলিশে বড় করে লেখা ‘Who Do You Call When the army rapes? এটি ধর্ষণজনিত একটি গ্রাফিতি এটি শিক্ষিত যে কেউ দেখলেই অনায়াসে বুঝে যাবে, দেশের জন্য এটি একটি সেন্সেটিভ ইস্যু। অথচ মার্কেটিং করতে আসা মেহজাবিন নাকি বুঝলেন না।
বর্তমানে মুভির প্রমোশনের জন্য অভিনেত্রীরা এরকম জঘন্য কাজ প্রায়ই করে থাকেন, এবং পরবর্তীতে সেই বিষয় নিয়ে সবার কাছে মাফ চেয়ে নেন। অভিনেত্রীরা আগে থেকেই মাফ চাইতে প্রস্তুত থাকেন কারণ তারা জেনেবুঝেই এই কাজগুলোতে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রাজি হন।
এর আগে সাদিয়া আয়মান ভুত নিয়ে নিজে লাইভে এসে কান্নাকাটি করে নাটকের প্রমোশন করেন এবং পরবর্তীতে ক্ষমা চান সবার কাছে।
নেগেটিভ মার্কেটিং চলচিত্র প্রচারণার একটি অংশ কিন্তু সেটা দেশের সেন্সেটিভ ইস্যু, মানুষের স্পর্শকাতর বিষয়, ধর্ষণের স্বীকার হওয়া তনুর মত মেয়েদের কেন বেছে নেওয়া হচ্ছে সেটি প্রশ্ন থেকেই যায়। নেগেটিভভাবে মার্কেটিং করার অনেক উপায় আছে কিন্তু মেহজাবিনের মত গুনি অভিনেত্রীরা যখন এরকম ঘৃণীত কর্মকাণ্ডে জড়িত হন তখন এটি জাতির জন্য আসলেই অনেক দুঃখজনক।