গুলশান ক্লাবের এক সদস্যকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি দিলো আওয়ামী নেতা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২২ পিএম
আওয়ামী লীগের দোসর মিতালী
গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ এহসান আবদুল্লাহ গত ১ জানুয়ারি রাজধানীর গুলশান
ক্লাবের ডোনার সদস্য খান মোহাম্মাদ আমীরের স্ত্রীকে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে।
এসময় ওদ্ধত্যপূর্ণভাবে বিএনপির লোকদের দেখে নেয়ারও হুমকি দিতে দেখা যায়। এই ঘটনায় ৩
জানুয়ারি ইমেইলে এবং ৪ জানুয়ারি সরাসরি গুলশান ক্লাবের সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ
করেছেন ভূক্তভোগী খান মোহাম্মাদ আমীর।
খান মোহাম্মদ আমির তার অভিযোপত্রে
লেখেন তার স্ত্রী রোকসানা আমির ৩১শে ডিসেম্বর তাদের পারিবারিক বন্ধু জেসমিন এবং অন্যান্যদের
সাথে ২০২৫ সালের ইংরেজি নববর্ষ উদযাপন করতে গুলশান ক্লাবে যান। রোকসানা আমির প্রাঙ্গণের
নতুন ভবনের কফি কর্নারে বসে থাকা অবস্থায় মিতালী
গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু ইউসুফ আবদুল্লাহর ছেলে সৈয়দ এহসান আবদুল্লাহ তার বর্তমান
স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াশাকে নিয়ে উক্ত স্থানে প্রবেশ করে।
ভিডিওতে দেখা যায় রোকসানা
আমির বসা অবস্থায় দেখে তাকে উদ্দেশ্য করে অত্যন্ত খারাপ, অশালীন এবং অশ্লীল শব্দ ব্যবহার
করে গালিগালাজ করতে থাকে এহসান আব্দুল্লাহ। এক পর্যায়ে খান মোহাম্মদ আমির ও তার স্ত্রী
রোকসানা আমির এবং তার মেয়েকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে দেখা যায়। এসময় ক্লাবটির কাউকে
এহসানকে থামাতে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি।
এহসান আবদুল্লাহ যখন রোকসানাকে
হত্যার হুমকি দিচ্ছেলেন তখন সুলতানা আহমেদ
নামে একজনকেও মেরে ফেলার হুমকি দিতে দেখা যায়। সুলতানাকে টুকরো টুকরো করার হুমকি দিতে
দেখা যায়। জানা যায় এই সুলতানা আহমেদ হলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মিহিলা দলের সাধারণ
সম্পাদক শাহিনা সুলতানা।
জানা গেছে সৈয়দ এহসান আবদুল্লাহ,
খান মোহাম্মদ আমিরের প্রাক্তন জামায়। সৈয়দ
এহসান আবদুল্লাহ ক্লাবের নিয়মিত সদস্য নন বলেও জানা গেছে। তাহলে কিভাবে ক্লাবে প্রবেশ
করলেন সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই ঘটনার পর এখন পর্যন্ত সৈয়দ এহসান আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে
গুলশান ক্লাবের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানা যায়নি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, সৈয়দ
এহসান আবদুল্লাহর নামে পল্টন থানা, কেরানীগঞ্জ মডেল থানাসহ বিভিন্ন থানায় তার নামে
মামলা রয়েছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আদাবর, শেখেরটেক এবং মোহাম্মদপুর এলাকায় ছাত্র হত্যার
সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন বলেও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
জারি আছে বলেও তথ্য পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারটি
তার পরিবার নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। দ্রুত এই হত্যার হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার
করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থারও অনুরোধ জানান খান মোহাম্মদ আমীরের পরিবার।