বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে যা জানাল পানি উন্নয়ন বোর্ড

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ আগস্ট ২০২৪, ০৩:১৯ পিএম

ছবি : সংগৃহীত
দেশের বন্যাকবলিত জেলাগুলোর সমতল এলাকাগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। শনিবার (২৪ আগস্ট) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান বন্যা পরিস্থিতির পূর্বাভাসে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পূর্বাঞ্চলীয় কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলার ভারতীয় ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এবং ত্রিপুরা প্রদেশের অভ্যন্তরীণ অববাহিকাসমূহে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়নি এবং উজানের নদ-নদীর পানি সমতল হ্রাস অব্যাহত আছে। ফলে বর্তমানে মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার নিম্নাঞ্চলের বিদ্যমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হয়েছে এবং অব্যাহত আছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যসহ দেশের কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ফেনী জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়নি। এসব অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও নেই। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই নদী সমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
আরো পড়ুন : বন্যার্তদের সহায়তায় একদিনের বেতন দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ
এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল, পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। এ সময় এ অঞ্চলের ফেনী, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম জেলার মুহুরী, ফেনী, গোমতী, হালদা ইত্যাদি নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে এবং সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি অব্যাহত থাকতে পারে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুরমা-কুশিয়ারা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীসমূহের পানি সমতল সামগ্রিকভাবে স্থিতিশীল আছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই নদীসমূহের স্বাভাবিক প্রবাহ বিরাজমান থাকতে পারে।
আরো পড়ুন : বন্যা পরিস্থিতি: বাংলাদেশকে সহযোগিতার বিষয়ে যা জানাল জাতিসংঘ
গত ২৪ ঘণ্টায় মুহুরী নদীর (বিলোনিয়া-ত্রিপুরা) পানি কমেছে ১৮৩ সেন্টিমিটার। শনিবার সকালে যা বিপৎসীমার ১০১ সেন্টিমিটার নিচে অবস্থান করছিল। ফেনী নদীতে প্রতি তিন ঘণ্টায় পানি কমছে ১৬ সেন্টিমিটার হারে। গোমতী নদীতে গত ২৪ ঘণ্টায় পানি কমেছে ৫১ সেন্টিমিটার। তবে গোমতীতে এখনো বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশের উজানে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টি হয়েছে সিপাহীজালা (ত্রিপুরা) ২১ মিলিমিটার, টেলিমুরা (ত্রিপুরা) ৭ মিলিমিটার ও কুমারঘাটে (ত্রিপুরা) ৫ মিলিমিটার।