আজ পয়লা কার্তিক, হেমন্তের শুভারম্ভ

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:২৫ এএম

হেমন্তকাল ফসলের ঋতু। ছবি: হাসান মাহমুদ।
আজ পয়লা কার্তিক। শরতের শুভ্রতা মাড়িয়ে শীতের আগমনি বার্তা নিয়ে হেমন্তের শুরু। কার্তিক-অগ্রহায়ণ দুই মাস নিয়ে হেমন্তকাল, বাংলা পঞ্জিকাবর্ষের চতুর্থ ঋতু এটি। এর পরেই আসবে পাতা ঝরার বার্তা নিয়ে শীতকাল।
কয়েকদিন ধরেই হেমন্তের আভাস পাওয়া যাচ্ছে প্রকৃতিতে। ধানের সবুজ পাতায় শিশিরবিন্দুর চুম্বন, চোখের সামনে ভরা আকাশ, দিনের আয়ু ছোট হয়ে আসা, দিনান্তে কুয়াশার পটভূমিতে সূর্যের অস্ত যাওয়া; আর সন্ধ্যা নামতেই শীত শীত অনুভূতি। তাই পঞ্জিকামতে আজ হেমন্তের প্রথম দিন হলেও ঋতুটি কদিন আগেই এসে গেছে বলা যায়; আর শরতের শেষ দিনগুলোর সঙ্গে হেমন্তের প্রথম দিনগুলোর সখ্য তো আছেই।
হেমন্তকাল ফসলের ঋতু। প্রথম মাস কার্তিক একসময় বাংলার ঘরে ঘরে অভাবের মাস হিসেবে পরিচিত ছিল। কার্তিকের সেই মঙ্গার কাল মানুষ পার করেছেন আগেই। অগ্রহায়ণ পুরোপুরি ধান কাটার মাস। মাঠে, কৃষকের বাড়িতে নতুন ধানের ঘ্রাণ। এ সময়েই সূচনা হয় নবান্ন উৎসবের।
হেমন্ত জীবন ও প্রকৃতিতে এক আশ্চর্য সময় হয়ে ওঠে। বর্ষার পরে এই সময়ে বৃক্ষ রাজি থাকে সবুজে ভরা। ভরা থাকে খাল-বিল নদী-নালা। বিল জুড়ে সাদা-লাল শাপলা আর পদ্ম ফুলের সমারোহ। এই হেমন্তের দুই রূপ প্রতিভাত হয়। প্রথম মাসটির এক রূপ। পরেরটির অন্য।
এক সময় হেমন্তের প্রথম মাসটি ছিল অনটনের। ফসল হতো না। বিভিন্ন অঞ্চলে খাদ্যাভাব দেখা দিত। সারা বছরের জন্য জমিয়ে রাখা চাল ফুরিয়ে যেত এ সময়ে এসে। ধানের গোলা শূন্য হয়ে যেত। কার্তিকের দুর্নাম করে তাই বলা হতো ‘মরা কার্তিক’। ধূসর বিবর্ণে ভরা ঋতু হেমন্ত। এই ঋতু সুফলা নয়। মৌসুমি কোনো শস্য বা আনাজ আমরা এই ঋতুতে পাই না। বর্ষা ও শরতের কখনো অনাবৃষ্টি আবার কখনো অতিবৃষ্টির কারণে এই ঋতু বরাবরই নিষ্ফলা থাকে। শাক সবজি ফলমূলেরও আকাল। দাম তাই আকাশচুম্বী।
আরো পড়ুন : সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে সতর্কতা