ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা নীলফামারী, বাড়ছে শীতের তীব্রতা

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৬ এএম

সামনের দিনে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। ছবি : সংগৃহীত
হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়ছে উত্তরের জনপদ নীলফামারীতে। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে এ জেলায় অধিকাংশ অঞ্চল। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঘন কুয়াশার কারণে সকালে সড়কে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে, বিঘ্নিত হচ্ছে প্লেন চলাচলও। ভোগান্তি বেড়েছে জনজীবনে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, গত কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রির নিচে অবস্থান করছে। মধ্যরাত থেকে ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ছে এ অঞ্চল। সোমবার সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিনে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে।
আরো পড়ুন : শীত নিয়ে নতুন বার্তা দিলো আবহাওয়া অফিস
এদিকে, শীত বেড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষ। শীত ও ঠান্ডার কারণে কাজে বের হতে পারছে না তারা। উত্তরের হিমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় গরম কাপড়ের অভাবে শীতে কষ্টে পড়েছেন এ জনপদের মানুষ। দিন গড়িয়ে সূর্য উঠলেও সন্ধ্যার পর থেকে কুয়াশায় ঢেকে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট। সে সময় রাস্তায় কমে যায় মানুষের চলাচল। দুর্ভোগে পড়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা।
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন থেকে খুব শীত ও কুয়াশা পড়া শুরু হয়েছে। সকালে ঠান্ডার কারণে কাজ করা যায় না। এতে খুব সমস্যায় পড়েছেন তারা।
তারা বলেন, সকালের দিকে আর সন্ধ্যা থেকে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। সকালে কুয়াশা আর শীতটা বেশি থাকে। প্রয়োজন থাকলেও সকালে বাহিরে বের হওয়া কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে।
এদিকে, শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত নানা অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে ওই অঞ্চলের মানুষ। শিশু ও বয়ষ্ক মানুষের পাশাপাশি অন্যরাও ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছেন।