কনকনে ঠান্ডায় কাঁপছে পঞ্চগড়, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৪ এএম

হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর চাপও বেড়েছে। ছবি : সংগৃহীত
আবারো শীত জেঁকে বসেছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ে। তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রির ঘরে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসের কারণে কনকনে ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে এই জেলার জনজীবন।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এরআগে বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগেরদিন এই জেলার তাপমাত্রা ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সকাল ছয়টায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়াও গত কয়েকদিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যায় কুয়াশা না থাকায় হিমেল হাওয়ায় কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরো কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরো পড়ুন : শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশা নিয়ে নতুন বার্তা
গত বুধবারের (৮ জানুয়ারি) পর থেকে কমতে থাকে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা। দেখা নেই সূর্যের। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে ঘর থেকে বের হচ্ছে না মানুষ। ফলে অনেকটাই শূন্য ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজারগুলো। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর চাপও বেড়েছে।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা প্রকৃতি। কুয়াশা ভেদ করে জেগে উঠেছে সূর্য। তবে শীত উপেক্ষা করেই সকালে বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবীদের কাজে যেতে দেখা গেছে। নদীতে পাথর উত্তোলন, বোরো আবাদসহ বিভিন্ন প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শ্রমজীবীরা।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকদিন পর পর আবার তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতভর প্রচণ্ড ঠান্ডা অনুভব হয়েছে। এ অঞ্চলে দিনের তুলনায় রাতে শীত অনুভূত হয় বেশি।
এদিকে উত্তরের এ জেলায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ রোগী। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।