তীব্র শীতে ভোগান্তিতে কুড়িগ্রামের জনজীবন

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:১৮ এএম

শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ছবি : সংগৃহীত
তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় ক্রমশ কমছে জেলার তাপমাত্রা। এতে আরো বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তীব্র শীতে মানুষের পাশাপাশি কষ্ট পাচ্ছে গৃহপালিত পশুপাখিরাও।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুয়াশার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে সতর্কতার সঙ্গে যাতায়াত করছে। কনেকনে ঠান্ডায় শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে পড়েছে হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষগুলো। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া লোকজন বাইরে বের হচ্ছে না। দিনের বেলা সূর্যের উত্তাপ না থাকায় হিমেল বাতাসে কমছে তাপমাত্রার পারদ। এ অবস্থায় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত তীব্র শীত অনুভূত হতে থাকে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শ্রমিক আব্দুল মালেক (৫৬) বলেন, খুব ঠান্ডায় বের হওয়া যায় না। কাজে না আসলে খামো কি? বউ ছাওয়া নিয়ে তাই কাজে আসলাম।
আরো পড়ুন : শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত পঞ্চগড়ের জনজীবন, তাপমাত্রা নামলো ৭ ডিগ্রিতে
যাত্রাপুর ইউনিয়নের আমেনা বেগম বলেন, খুব ঠান্ডা বাড়ি থেকে বাহির হওয়া যাচ্ছে না। কুয়াশায় কিছু দেখা যায় না। তারপরেও কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। কি আর বলি পেট তো আর ঠান্ডা বুঝে না।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
দিনের অধিকাংশ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। হিমেল বাতাস ও কুয়াশার কারণে দিনেও শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে। শীতের প্রকোপে চরাঞ্চলের মানুষদের অবস্থা আরো করুণ। নদী-তীরবর্তী চার শতাধিক চর ও দ্বীপচরের দরিদ্র পরিবারগুলো শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।
শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা হাসপাতালে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।