সরকারের নিয়ন্ত্রণে আসছে দুর্বল ৬ ব্যাংক

কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৯:১৩ এএম

সরকার এসব ব্যাংকের মালিকানা সাময়িকভাবে নিজের হাতে রাখবে। ছবি : সংগৃহীত
নানা অনিয়ম ও ঋণ কেলেঙ্কারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি বেসরকারি ব্যাংককে একীভূত করে সরকারের সাময়িক মালিকানায় নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগামী জুলাইয়ের মধ্যেই এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
সাক্ষাৎকারে গভর্নর জানান, দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়মে জড়িত এসব ব্যাংক দেশের আর্থিক খাতে চাপ তৈরি করছে। এজন্যই তাদের একীভূত করে সাময়িকভাবে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় এনে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
যে ছয়টি ব্যাংককে একীভূত করা হবে সেগুলো হলো– ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, গ্লোবাল ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ন্যাশনাল ব্যাংক।
আরো পড়ুন : এনবিআর চেয়ারম্যান অপসারণে ২৯ মে পর্যন্ত আল্টিমেটাম
এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে পাঁচটি ব্যাংক ছিল বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে। বাকি একটি ব্যাংক পরিচালনায় ছিলেন নজরুল ইসলাম মজুমদার।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, আমরা আশা করছি, জুলাইয়ের মধ্যেই এই ছয়টি ব্যাংককে সরকারি তত্ত্বাবধানে এনে প্রয়োজনীয় মূলধন জোগান দিতে পারব। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারল্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সরকার এসব ব্যাংকের মালিকানা সাময়িকভাবে নিজের হাতে রাখবে। পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শেষে ব্যাংকগুলোর শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং আন্তর্জাতিক কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, একটি ব্যাংককে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের (রিস্ক-ওয়েটেড অ্যাসেট) বিপরীতে কমপক্ষে ১২.৫ শতাংশ মূলধন রাখতে হয় — যার মধ্যে ১০ শতাংশ মূলধন এবং অতিরিক্ত ২.৫ শতাংশ ‘ক্যাপিটাল কনজারভেশন বাফার’ হিসেবে সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গভর্নর বলেন, যেসব ব্যাংকের এই মূলধনের ঘাটতি রয়েছে, সেসব ব্যাংকে আগামী চার বছরের মধ্যে ১২.৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ-এ উন্নীত করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, একটি টেলিভিশন চ্যানেল ছয়টি ব্যাংক একীভূত হওয়ার খবর প্রচার করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সেই খবরের প্রতিবাদ করা হয়নি, সুতরাং গভর্নর যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সঠিক বলেই মনে করি। তবে এখনো এ বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো তথ্য আসেনি।